চলছেনা দূরপাল্লার বাস তবু ঢাকা ছাড়ছে মানুষ

চলছেনা দূরপাল্লার বাস তবু ঢাকা ছাড়ছে মানুষ

দুই থেকে তিন দিন পরই ঈদ। এদিকে করোনার কারণে দেশব্যাপী চলছে লকডাউন। শহরে গণপরিবহন চললেও দূরপাল্লার বাস বন্ধ আছে ৫ এপ্রিল থেকে। তারপরও সরকারি নির্দেশ অমান্য করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা ছেড়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন উপায়ে ফিরে যাচ্ছে বাড়িতে।

বাস-ট্রেনের পাশাপাশি লঞ্চ-স্টিমার, ট্রলার ইত্যাদি চলাচলও বন্ধ করা হয়েছে। শুধু বিশেষ প্রয়োজনে রাতের বেলা পণ্যবাহী পরিবহন চলাচলের জন্য ফেরি চলাচল অব্যাহত আছে। সেই ফেরিতে করেই পার হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।পরিস্থিতি মোকাবেলায় গতকাল মাওয়া এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি কে।

টিটি পাড়া ও সায়েদাবাদ: দেশের পূর্বাঞ্চলের জেলার বাস চলে এ এলাকা থেকে। সারি সারি বাস কাউন্টারগুলো বন্ধ এখানে। টহল দিচ্ছে পুলিশ আর র‌্যাবের গাড়ি। এ কারণে কোনো দূরপাল্লার বাস এখান থেকে ছাড়তে পারছে না। এখান থেকেও হাজার হাজার যাত্রী অনেক বেশি টাকায় গাড়ি ভাড়া করে বাড়ির পথ ধরছেন। এদেরকে বিভিন্ন পরিবহন ঠিক করে দেন কিছু পরিবহন শ্রমিক। যাত্রী প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে পান তারা। তাদের সহযোগিতা নিয়ে কেউ মাইক্রো বাসে, কেউবা প্রাইভেট কারে, কেই আবার সিএনজি অটোরিকশায় করে ভেঙে ভেঙে যাচ্ছেন বাড়িতে।

যাত্রাবাড়ী: যাত্রবাড়ী চৌরাস্তাতেও হাজারো মানুষের ভিড় দেখা যায় সবসময়। সবাই বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য গাড়ির অপেক্ষায়। এখান থেকে বিভিন্ন পরিবহনে, ভেঙে ভেঙে অনেকেই কুমিল্লা, চাঁদপুরে, নরসিংদীতে যাচ্ছেন।আবার অনেকে যাচ্ছে অটোরিকশায় যার একটিতেই যাত্রী নিচ্ছে পাঁচজন করে। যাত্রী আর অটোচালকদের সামলাতে আজ সকাল থেকে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানালেন সার্জেন্ট সুশান্ত।

কমলাপুর: যাত্রীবাহী রেল বন্ধ আছে অনেকদিন থেকে। তবে নির্দিষ্ট জেলায়, নির্দিষ্ট সময়ে কিছু মালবাহী রেল চলে। সার্বক্ষণিক পাহারায় দিচ্ছে রেল পুলিশের দল। তাই কয়েকজন রেল পুলিশ ছাড়া পুরো কমলাপুর স্টেশন এলাকায় কোনো জনমানবের নেই।

ধারণা করা হচ্ছে কাল থেকে আরো বাড়তে পারে এই জনগণের ভীড়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password