টঙ্গীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

টঙ্গীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

টঙ্গীতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের মালিকানাধীন ৬ একর সরকারি সম্পত্তির অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন। রবিবার সকালে টঙ্গীর কাঠালদিয়া এলাকার ওই জমিতে গড়ে উঠা বস্তির প্রায় দুই শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

গাজীপুর জেলার টঙ্গী রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির আহমেদ এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
জানা যায়, বর্তমান সরকারের মেঘা প্রকল্প পিপিই-এর আওতায় ইস্পাত প্রকৌশল কর্পোরেশন ডিআইটি শিল্প প্লটে ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লি: কোম্পানি কর্তৃক রাসায়নিক গোডাউন নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করে। প্রকল্পের আওতায় ছয় একর ভূমি রয়েছে। যাতে দীর্ঘদিন যাবত গরিব, অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবারগুলো বসবাস করে আসছিলেন।

এমনকি কিছু পরিবার রয়েছে যাদের পূর্ব পৈত্রিক সম্পত্তি রয়েছে এখানে। তবে সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে ওই জমিতে থাকা সকল স্থাপনা উচ্ছেদের আদেশ দেওয়া হয়। তবে বস্তিবাসীর অভিযোগ, কোন ধরনের ক্ষতিপূরণ ছাড়াই বস্তিবাসীকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।

উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) ইলতুৎ মিশ, গাজীপুর জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উসিউজ্জামান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ইউএনও) জাকির হোসেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া তাবাসসুম, টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম। উচ্ছেদ অভিযানে টঙ্গীর কাঁঠালদিয়া বস্তির প্রায় দুই শতাধিক পাকা-কাচা ঘরবাড়ি, দোকানপাটসহ বিভিন্ন ব্যক্তি মালিকানায় থাকা গোডাউন গাজীপুর বুলডোজার মেশিনের মাধ্যমে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী ও এলাকা বাসীর দাবী এই অভিযানে অনেকে তাদের পাওনা টাকা বুঝে পাইনি।
পাশাপাশাি তারা এ ও দাবী করেন নাম না জানাতে অনিচ্ছুক কয়েক জন ব্যাক্তি বলেন এই অভিযানে আশে পাশে স্হানীয় নেতৃবৃন্দ ও ঠিকাদারের কোটি কোটি টাকা মুনাফা হবে।
কোটি টাকার কাছে আমাদের কি দাম আছে অবশ্য ই না তা না হলে ৬ একর জমির অধিক জমির বাড়ী ঘর ভাংচুর করা হয়েছে কেন?
কাদের স্বার্থে উদ্ধারের কারনে সরকারী ৬ একর জমির অধিক জমির বাড়ী ঘর ভাংচুর করা হয়েছে। এই নিয়ে অনেকে আদালতে মামলা করেছে। মামলা চলাকালিন এই জমি কেন দখল করা হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password