শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুইজনকে খালাস- হাইকোর্ট

শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুইজনকে খালাস- হাইকোর্ট
MostPlay

২০১৪ সালের ৫ অক্টোবর ৩য় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলার জন্য নিহতের পিতার করা মামলায় ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি পিরোজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. গোলাম কিবরিয়া দুই জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। তবে এখন পিরোজপুরে ৩য় শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সেই দুইজনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ ৩০ জুন,২০২১ (বুধবার) আসামিদের করা আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানির পর বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের মৃত্যুদন্ড থেকে খালাসের এই রায় দেন। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মেহেদি হাসান স্বপন ও সুমন জোমাদ্দার।

আদালতের শুনানিতে আসামি পক্ষের আইনজীবী শিশির মনির বলেছিলেন, ‘সুমন জমাদ্দার ঘটনার সময় শিশু ছিলেন। কিন্তু নিম্ন আদালত সেটি বিবেচনায় না নিয়েই তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। এবং তার স্বীকারোক্তির ওপর ভিত্তি করেই আরেকজকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। এক্ষেত্রে আমি বলেছি যে, শিশুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির সাক্ষ্যগত কোনো মূল্য নেই।'

হাইকোর্ট এসকল যুক্তি শুনে সব কিছু বিবেচনায় নিয়েই দুজনকে খালাসের রায় দিয়েছেন বলে আরও জানান আইনজীবী।

জানা যায়, ২০১৪ সালের ৫ অক্টোবর সকালে ৩য় শ্রেণির ওই ছাত্রী তার নানার একটি গরু স্কুল মাঠে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে গেলে সে আর ফিরে না আসায় বাড়ির লোকজন বিভিন্ন স্থানে মেয়েটির খোঁজ করে। পরদিন দুপুরে তাদের প্রতিবেশি শাহজাহান জমাদ্দারের বাগানে বিবস্ত্র অবস্থায় ও ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মেয়েটির লাশ পাওয়া যায়।

এই খবর পেয়ে মঠবাড়িয়া থানার পুলিশ লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ডাক্তার ননী গোপাল রায় উল্লেখ করেন যে, শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে।

এরই প্রেক্ষিতে নানা তদন্তের পর দুজনকে আসামি চিহ্নিত করা হলে তাদেরকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। তবে আজ হাইকোর্ট তাদেরকে খালাস করে দিয়েছে।

আবারো দেশের আইনকে চুন করে ধর্ষণের সাস্তি মৃত্যুদন্ডকে মিথ্যা প্রমাণ করে বেরিয়ে গেলো অপরাধীরা।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password