পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ। তাই বিক্রেতারা ব্যবহার করছেন কাগজের প্যাকেট। এই প্যাকেটেই অভিনব এক প্রতারণার ফাঁদ পেতেছেন বিক্রেতারা। ক্রেতার চোখ ফাঁকি দিয়ে কেজিতে ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম পণ্য কম দিচ্ছে দোকানিরা। এমনি প্রতারণার শিকার কুমিল্লার চান্দিনার মানুষ। স্থানীয় বাজারগুলোতে এমন অবস্থা চললেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
জানা যায়, কাগজের প্যাকেটের তলায় ভারি মলাট লাগিয়ে প্রতারণার জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয় ওইসব প্যাকেট। ২০ টাকা কেজি মূল্যে কাগজের প্যাকেটিং ৩০-৫০ টাকা কেজিতে কিনে আনছে অসাধু বিক্রেতারা। আর ওই প্যাকেট পণ্যের সাথে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা।
কুমিল্লার চান্দিনার স্কুলশিক্ষক রফিকুল ইসলাম। গত সোমবার (৮ মার্চ) বিকেলে চান্দিনা বাজার থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে ৫০০ গ্রাম আঙ্গুর ফল কেনেন। বাড়ি গিয়ে দেখেন যে কাগজের প্যাকেটে আঙ্গুর ফল এনেছেন ওই প্যাকেটের ওজন ১০০ গ্রাম।
তিনি বলেন, ৫০০ গ্রাম আঙ্গুর ফলের সঙ্গে ১০০ গ্রাম কাগজের প্যাকেট। সেই হিসাবে প্রতি কেজি আঙ্গুর ফলে ২০০ গ্রাম কাগজের প্যাকেট দিচ্ছে প্রতারক বিক্রেতরা। আর ২০০ গ্রাম কাগজের প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকায়।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হরে কৃষ্ণ সাহা গত রবিবার বাজার থেকে ২৮০ টাকা কেজি দামে এক কেজি আনার কিনেন। আনারের সঙ্গে প্যাকেটটির ওজন ছিল ৯০ গ্রাম। ফলে ওই প্যাকেটের মূল্য দাঁড়ায় ২৭ টাকা।
হরে কৃষ্ণ সাহা বলেন, বিক্রেতারা ৪০ টাকা কেজি মূল্যের কাগজের কিনে ১৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা মূল্যে বিক্রি করছে। আমরা যারা ক্রেতা প্রতিনিয়তই ওই প্রতারক বিক্রেতাদের কাছে প্রতারিত হচ্ছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভীষণ কান্তি দাস বলেন, সম্প্রতি এমন অভিযোগ পেয়েছি। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে একাধিক দোকানীকে জরিমানা করেছি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন