বরিস জনসনের বাবা ফ্রান্সের নাগরিকত্ব নিতে চান

বরিস জনসনের বাবা ফ্রান্সের নাগরিকত্ব নিতে চান
MostPlay

যেদিন যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে সেদিনই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পিতা জানিয়েছেন তিনি ফরাসি পাসপোর্টের জন্য আবেদনের কার্যক্রম শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি। বরিস জনসনের পিতা স্ট্যানলি জনসন ইউরোপীয় সংসদের একজন প্রাক্তন সদস্য। তিনি ব্রিটেনের ২০১৬ সালের গণভোটে ইইউ ব্লকে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।

ফ্রান্সে দেশটির আরটিএল রেডিওর সঙ্গে আলোচনাকালে স্টানলি জনসন বলেন, এটি ফরাসি হওয়ার প্রশ্ন নয়। আমি যদি সঠিকভাবে বুঝতে পারি তবে আমি ফরাসি! আমার মা ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তার মা তার পিতামহের মতো ফরাসি ছিলেন। ৮০ বছর বয়স্ক স্টানলি বলেন, এটি আমার জন্য প্রাপ্তির প্রশ্ন, যা ইতোমধ্যেই আমার রয়েছে এবং আমি এ ব্যাপারে অত্যন্ত খুশি।

১৯৭৩ সালে ব্রিটেন ইইউতে যোগ দেয়ার পর প্রথম যারা ব্রিটিশ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ব্রাসেলসে নিয়োগ পেয়েছিলেন. ইইউয়ের ৪৭ বছরের সদস্যপদের অবসান ঘটানো রাজনীতিবিদের বাবা স্টানলি তাদের মধ্যে ছিলেন। তিনি ইউরোপীয় কমিশনে কাজ করেছেন এবং ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০১৬ সালে ইইউ ত্যাগের ব্যাপারে ভোটাভুটির এক বছর পর তার মানসিক পরিবর্তনের আগে তিনি ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগের বিরুদ্ধে প্রচার অভিযানে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি আরটিএলকে বলেন, আমি সর্বদা নিশ্চিতভাবেই ইউরোপিয়ান হবো। তিনি নিজেকে একজন ইইউ পাসপোর্টধারী হিসেবে পছন্দ করেন।

ফরাসি পাসপোর্টের জন্য তার পরিকলাপনার কথা ইতোমধ্যেই তার মেয়ে রিচেল গত মার্চে প্রকাশিত এক বইয়ে উল্লেখ করেছেন। রিচেল তার বইয়ে লিখেছেন, তার দাদি ভার্সেইলে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং যদি তার বাবা ফরাসি নাগরিকত্ব পান, তবে তিনিও ফরাসি নাগরিক হতে চান।নতুন যুগে প্রবেশ করেছে ব্রিটিশরা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটেছে যুক্তরাজ্যের। অর্থাৎ ১ জানুয়ারি থেকে আর ইইউয়ের অংশ নয় দেশটি।

সূত্র: আলজাজিরা।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password