অন্যের জমিতে গড়া খুপরি ঘরে চার সন্তান নিয়ে কাটে বাসন্তীর জীবন

অন্যের জমিতে গড়া খুপরি ঘরে চার সন্তান নিয়ে কাটে বাসন্তীর জীবন

নেই নিজের কোনো বাড়ি। ছয় বছর ধরে অন্যের বাড়িতে আশ্রিত হয়ে থাকছেন। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় দুর্গাপুরসহ সারা জেলায় ৯৬০টি বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হলেও বাসন্তীর কপালে জোটেনি একটি ঘর। তারপরও একটি বাড়ির অপেক্ষায় আছেন তিনি।

নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসদরের শিবগঞ্জ বাজারে অন্যের জমির ওপর নির্মিত খুপরি ঘরে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন চার সন্তানের জননী বাসন্তী রানী দাস (৬২)। ছয় বছর আগে তাকে রেখে স্বামী শীতেশ চন্দ্র দাস অন্যত্র বিয়ে করে চলে যান বলে জানান স্থানীয়রা।

ভাঙা ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে বাসন্তী রানী বলেন, ‘আমার সব জমি ও ঘর সোমেশ্বরী নদীর ভাঙনে চলে গেছে। স্বামী তাকে ত্যাগ করার পর সন্তানদের নিয়ে অনেক কষ্টে দিনযাপন করছি’।

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ঘর দিচ্ছেন শুনেছি। আমিও সেই ঘরের আশায় আছি। এক পোয়া চাল রান্না করে সংসারের চার সদস্য মিলে খাই। অর্থের অভাবে মেয়ে পুতুলিকেও (২৭) বিয়ে দিতে পারছি না’।

পেটে ভাতও জুটছে না, আমাকে বিয়ে দিবে কীভাবে এ কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন পুতুলি রানী দাস। এছাড়া তার বোন পূর্ণিমা রানী দাস (১৬) জেএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর অর্থের অভাবে আর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি।

স্থানীয় কাউন্সিলর আব্দুর রশিদ বলেন, ‘ইতোমধ্যে বাসন্তীর আইডি কার্ড সংগ্রহ করেছি। তাকে সরকারি পৌরসভার তহবিল থেকে সহায়তা করার চেষ্টা করছি’।

এ বিষয়ে নবনির্বাচিত পৌর মেয়র মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘আমি মাত্র পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। ওই পরিবারটি অনাহারে জীবনযাপন করছে এই তথ্য আপনাদের মাধ্যমেই শুনেছি। খোঁজ নিয়ে পরিবারটিকে সব ধরনের সহযোগিতা করবো।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীবুল আহসান বলেন, ‘সরকার এমন অসহায়দের জন্যই জমিসহ পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছে। দরিদ্র পরিবারটির খোঁজ নিয়ে সরকারি প্রকল্পের আওতায় তাদের সহযোগিতা করা হবে

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password