রোহিঙ্গা নয় ধর্ষকদের নোয়াখালীর ভাসানচরে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন,`আপনারা রোহিঙ্গাদের জন্য যে ভাসানচর ঠিক করেছেন। ওই ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পাঠানোর দরকার নাই এই ধর্ষকদের পাঠান। এদেরকে সহ পাপিয়ার দলবল সহ পাঠিয়ে দেন। ওইখানে এরা নিরাপদে থাকুক। বাংলাদেশের মানুষ ও নিরাপদে থাকবে।'

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপির উদ্যোগে নারী ও শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

আলাল বলেন, আপনাদের আওয়ামী লীগকে মনে করিয়ে দেই ১৯৫৮ সালের এই দিনে ইস্কান্দার মির্জা কে সরিয়ে আইয়ুব খান সামরিক শাসন জারি করেছিল। আপনারা কি সেই দিকে যাচ্ছেন নাকি? মনে তো হয় আপনারা সেই দিকেই যাচ্ছেন। যদি তাই না হয়ে থাকে ইয়াসমিনকে ধর্ষণ করেছিল কিছু দুষ্ট প্রকৃতির পুলিশ কনস্টেবল। তখন আপনারা সারা দেশে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন। আপনাদের হাজার হাজার নারী কর্মীরা রাস্তায় নেমে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। ইয়াসমিনের বিচার বেগম খালেদা জিয়া করেছে, বিএনপি করেছে। আজ আপনাদের নেতারা, কিছু পুলিশরা, কর্মীরা, কর্মকর্তারা যেভাবে ধর্ষণের মহোৎসব করছে। আমার মনে হয় রোহিঙ্গাদের জন্য যে ভাসানচর ঠিক করা হয়েছে ওই ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পাঠানোর দরকার নাই এই ধর্ষকদের পাঠান।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাম্প্রতিক সময়ের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনি প্রায়ই কথায় কথায় বলেন ছাড় দেয়া হবে না, ছাড় দেয়া হবে না। আরে কিসের ছাড়?এটা কি আড়ং, মিনা বাজার নাকি আগোরা গেলাম ফিফটি পার্সেন্ট, সেভেন্টি পারসেন্ট ডিসকাউন্ট তাই নাকি? আর কেন বলেন প্রতিবাদ করার দরকার নাই সরকার ব্যবস্থা করছে।

প্রতিবাদ আপনারা করেন নাই? ব্যারিস্টার মইনুল ইসলাম কি একটা বলেছিল আপনার নারীকর্মীরা মাথায় গামছা বেঁধে রাস্তায় নেমে পড়েছিল। আজ কোথায় তারা? তাদের বিবেক নাই? তাদের সন্তান নাই? তাদের বোন, মেয়ে নাই?

সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘অনেকেই এই কর্মসূচির কথা জানেন না। বিএনপির সকলেই যদি জানতো যদি অনুমতি আসে থাকতে পারবেন না কিন্তু নিরাপদ। দয়া করে এই কথাটি মনে রাখবেন। এবং এখনো সময় আছে সোনার সিংহাসন ছেড়ে জনগণের প্রত্যাশা পাবার চেষ্টা করুন না হলে আপনাদের পরিনিতি হবে ইতিহাসের ভয়ংকর ও নিকৃষ্টতম।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, কৃষক দলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ বক্তব্য দেন।