করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে অভিনেত্রী

করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে অভিনেত্রী
MostPlay

 

প্রায় তিন মাস শুটিং বন্ধ থাকার পর ১৫ জুন থেকে ‘খান বাড়ি বাড়াবাড়ি’ ধারাবাহিক নাটকের দৃশ্য ধারণ শুরু হওয়ার কথা ছিল। শুটিংয়ের যাবতীয় পূর্বপ্রস্তুতি শেষ। এমন সময় নির্মাতা জানতে পারেন, নাটকের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের একজন অভিনেত্রীর পরিবারে একজন করোনায় আক্রান্ত এবং দুজনের করোনার লক্ষণ আছে। তাঁদের সংস্পর্শে এই অভিনেত্রী থাকার খবরে নির্মাতা নাটকের শুটিং স্থগিত করেন।

বাবা এবং চার মেয়েকে কেন্দ্র করেই ‘খান বাড়ি বাড়াবাড়ি’ ধারাবাহিকের গল্প। এই চার মেয়ের মধ্যে অন্যতম একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন মডেল ও অভিনেত্রী সুবর্ণ কাজল। নাটকে তাঁর চরিত্রটি দর্শকদের কাছে বেশ পরিচিত। ১৫ জুন থেকে এই অভিনেত্রীর শিডিউল নেওয়া ছিল। কিন্তু সবার করোনা সতর্কতায় শুটিং বন্ধ করতে বাধ্য হন নির্মাতা সকাল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের গল্পের অন্যতম একটি চরিত্র সুবর্ণ কাজল ফোন করে জানান তাঁর নানি করোনায় আক্রান্ত। তাঁর পরিবারেরও কয়েকজনের শারীরিক অবস্থা একটু খারাপ। এ অবস্থায় সুবর্ণ ও তাঁর নানি এবং পরিবারের সবার সংস্পর্শে ছিলেন। এ জন্য শুটিং করতে একটু ভয় লাগছিল। কারণ, এমনও হতে পারে যে একজনের জন্য সবার সমস্যা হতে পারে। বলা যায় না। সচেতনভাবেই ঝুঁকি নিতে চাইনি। এ ছাড়া তারও নিরাপদে থাকা দরকার। সে জন্য শুটিং বাতিল করেছি। আমাদের সেই অভিনেত্রী এখন গ্রামে আছেন। ঢাকা ফিরলে কোয়ারেন্টিন শেষে করোনা টেস্ট করিয়ে আমরা আগামী মাসে শুটিংয়ে যাব।’

নাটকের জন্য শুটিংবাড়ি বুকিং দেওয়া ছিল উত্তরার আপনঘর-২। শিডিউল নেওয়া ছিল অভিনেতা বড়দা মিঠু, শফিক খান দিলু, অভিনেত্রী নিশাত প্রিয়ম, মীম চৌধুরী, সানিতা সামান্তাসহ বেশ কজন শিল্পীর। এই ধারাবাহিকটি ছয়–সাতটি পর্বে সাজানো হয় একটি করে গল্প দিয়ে। ‘করোনা’ নামক একটি গল্পে সবার সঙ্গে সুবর্ণ কাজলের দৃশ্য ছিল। কিন্তু তাঁকে করোনা সন্দেহে রেখে শুটিং বাতিল করেন নির্মাতা। এ অভিনেত্রী বলেন, ‘প্রথমে আমার নানি করোনায় আক্রান্ত হন। নানির সংস্পর্শে আমরা সবাই ছিলাম। আমার মা ও বোনের জ্বর ছিল। আমি নির্মাতাকে সব খুলে বলি। তখন সবাই আমাকে নিয়ে ভয় পাচ্ছিলেন। যেহেতু আমার অন্যান্য সহশিল্পীর সঙ্গে দৃশ্য ছিল, সে জন্য নির্মাতাও চাননি আমি এ অবস্থায় শুটিং করি। তিনি আমাকে বাসায় রেস্ট নিতে বলেন। ১৪ তারিখে শুটিং বাতিল হয়। আমার নানি ১৫ জুন ভোরে মারা যান। এখন সম্পূর্ণ কোয়ারেন্টিনে আছি। পরবর্তী সময়ে করোনা টেস্ট করিয়ে পরে শুটিংয়ে যাব।’

নাটকটি একুশে টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। এটি লিখেছেন ইউসুফ আলী। বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন মজিবুর রহমান দিলু, দিপা খন্দকার, প্রাণ রায় প্রমুখ।

 

 

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password