রেকর্ড সংখ্যক রোহিঙ্গার দেহে করোনা শনাক্ত

রেকর্ড সংখ্যক  রোহিঙ্গার দেহে করোনা শনাক্ত

গতকাল ২৪ ঘন্টায় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে রেকর্ড ৪৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
গতকাল ২০শে মে বৃহস্পতিবার ৯৩৯ জনের নমুনা পরিক্ষার মধ্যে  ১০৯ জনের শরীরে এই ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের তালিকায়  ফলোআপ রোগী রয়েছে ২ জন। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ভাইরাসটির শনাক্তের হার ১১.৬ শতাংশ। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জেলায় সংক্রমণের মধ্যে ১ জন বান্দরবান জেলার রোগী, দুই জন পুরাতন ফলোআপ রোগী। বাকি ১০৬ জন কক্সবাজার জেলায় নতুন করে এই এই ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছে।  নতুন ২২ জন সংক্রমণ নিয়ে জেলায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সদর উপজেলা। যথাক্রমে  ১৬ ও ১২ জন শনাক্ত নিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত  উখিয়া উপজেলা ও টেকনাফ উপজেলা। গতকাল উখিয়া ও সদর উপজেলায় আক্রান্ত অনেকাংশেই কমে এসেছে। 

তবে রোহিঙ্গারা ঘিঞ্জি বস্তিতে বসবাস করায় সেখানে আক্রান্তের হার পুর্বের সব রেকর্ডের দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা। গত বুধবার ও  রেকর্ড ২৬ জন রোহিঙ্গার দেহে এই ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে করোনা সংক্রমণ রোধে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন। 

সংক্রমণ রোধে ক্যাম্পে কর্মরত এনজিও সংস্থা  গুলো কে জরুরী ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম ছাড়া অন্য কোনো কার্যক্রম পরিচালনা না করার নির্দেশ দেন এবং এনজিও সংস্থা গুলোকে তাদের কর্মী অর্ধেকে নামিয়ে আনার নির্দেশ দেন। তার পরও অধিকাংশ এনজিও সংস্থা আমলে নিচ্ছে না এই সব নির্দেশনা। ক্যাম্পে দৈনিক যাতায়ত করছে হাজার হাজার এনজিও  কর্মী। নিত্য সময় গণজময়েত হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পেগুলোতে। তারা স্বাস্থ্যবিধির কোনো রকম তোয়াক্কা করছেনা। এমন অনিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রোহিঙ্গারা।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password