রুশ যুদ্ধবিমান-রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কাঁপছে ইউক্রেন

রুশ যুদ্ধবিমান-রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কাঁপছে ইউক্রেন
MostPlay

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের ৫ এলাকায় রাতভর ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। নিপ্রো, খারকিভ, খেরসনসহ বিভিন্ন স্থানে চালানো হামলায় প্রাণ যায় অন্তত ৫ বেসামরিকের। পাল্টা প্রতিরোধে অন্তত ২০ রুশ ড্রোন ধ্বংসের দাবি করেছে কিয়েভ।

এদিকে,সামরিক এবং অর্থনৈতিক সহায়তা অব্যাহত থাকলে রাশিয়াকে প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে প্রত্যয় জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ইউক্রেনের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে চলছে একের পর এক রুশ হামলা। যুদ্ধবিমান আর হেলিক্প্টার থেকে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাশাপাশি চলে কামান থেকে গোলাবর্ষণ ও মর্টার নিক্ষেপ।

কিয়েভের উপকণ্ঠের বিভিন্ন স্থানে চালানো হয় হামলা। প্রাণ বাঁচাতে মেট্রোসহ বিভিন্ন আন্ডারগ্রাউন্ডে আশ্রয় নেন কিয়েভের বহু মানুষ। রোববার (৭ জানুয়ারি) সবচেয়ে বড় অভিযান চালানো হয় ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে। রাতভর ইউক্রেনের নিপ্রো, খেরসন, কুপিয়ানস্ক এবং খারকিভে তাণ্ডব চালায় রুশ বাহিনী। ইউক্রেনীয় বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো হলেও ক্ষয়ক্ষতি হয় বহু বেসামরিক স্থাপনাতেও। প্রাণ যায় বেশ কয়েকজনের। আহত অর্ধশত।

ইউক্রেনের দাবি, পাল্টা হামলায় ধ্বংস করা হয়েছে অন্তত ২০ রুশ ড্রোন। খবর আল জাজিরার। এদিকে, রোববার আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে অংশ নেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। তিনি জানান, সামরিক সহায়তা অব্যাহত থাকলে রাশিয়াকে পরাজিত করা সম্ভব। তাই ইউরোপকে অস্ত্র উৎপাদন বাড়াতে হবে। যদি সঠিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব হয় এবং পর্যাপ্ত সমরাস্ত্র সরবরাহ করা হয়ে থাকে, তাহলেই রাশিয়াকে পরাস্ত করা সম্ভব।

এক্ষেত্রে আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার কোনো বিকল্প নেই। অন্যদিকে, রুশ আগ্রাসনকে ঠেকাতে ঐকব্যদ্ধ প্রচেষ্টার বিকল্প নেই বলে জানায় সুইডেন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী টবিয়াস বিলস্টর্ম বলেন, ইউক্রেনের প্রতি আমাদের সামরিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে। ইউরোপের নিরাপত্তার জন্যই লড়াই করছে ইউক্রেনীয় সেনারা। তাই আমাদের সরকারের নীতি হলো, কিয়েভের প্রতি সব সময় সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখা। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র বলছে, মুক্ত পৃথিবী গড়তে চাইলে রুশ আগ্রাসন প্রতিহত করার বিকল্প নেই।

সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, মুক্ত পৃথিবীর নেতৃত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র। আমরা মনে করি– নিজস্ব চিন্তা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে বাঁচার অধিকার সবারই আছে। তাই রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের ইউক্রেনকে সহায়তা করা অব্যাহত থাকবে। এর পাশাপাশি ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও আমাদের দায়িত্ব।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password