অজানা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। রাজশাহীতে অজানা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া দুই শিশু মুনতাহা মারিশা ও মুফতাউল মাসিয়ার মৃত্যু নিয়ে রাজশাহীজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাদের মধ্যে মুনতাহা মারিশার বয়স ২ বছর। আর মুফতাউল মাশিয়ার বয়স ৫ বছর।
শিশুদের মৃত্যুর পরে তাদের বাবা-মাকেও হাসপাতালের নিপা ওয়ার্ডে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। মুনতাহা মারিশা ও মুফতাউল মাশিয়া রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামের মনজুর রহমানের দুই মেয়ে সন্তান। মনজুর রহমানে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক ও তার স্ত্রী পলি খাতুন। পরিবারের সকলে রাজশাহীর চারঘাটের সারদায় ক্যাডেট কলেজের কোয়ার্টারে থাকতেন।
জানা যায়, না ধুয়ে কুড়িয়ে পাওয়া বরই খেয়েছিলো এই দুই শিশু। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মারা যায় বড় মেয়ে মাশিয়া।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) একই লক্ষণ নিয়ে মারা যায় ছোট মেয়ে মারিশা। পরে শিশুদের বাবা মাকে হাসপাতালের নিপা আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। বিকেলে স্বজনদের মাধ্যমে মাশিয়ার মরদেহ বাড়িতে পাঠানো হয়। সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়িতে মরদেহ দাফন করা হয়। বুধবার মারিশার লাশও দাফন করা হয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা বলছেন, মঙ্গলবার কোয়ার্টারের পাশে কুড়িয়ে পাওয়া বরই খেয়েছিল মারিশা আর মাশিয়া। পরে গত বুধবার মারিশার জ্বর বমি হয়। পরে রাজশাহীর সিএমএইচ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। গত শুক্রবার মাশিয়ারও জ্বর আসলে রাজশাহী সিএমএইচে আনলে মাশিয়ারও পুরো শরীরে ছোট কাল দাগ উঠতে থাকে।
চিকিৎসকেরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনলে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। শনিবার বিকালে মাশিয়াও মারা যায়।
রামেক হাসপাতালের চিকিৎসকরা ধারণা করছেন, দুই শিশুর নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তবে অন্য কোনো ভাইরাসও হতে পারে। হাসপাতালে মারা যাওয়ায় পুরো পরিবারের সকলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক বিষয় জানা যাবে বলেও জানান তারা।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন