আবাসিক হোটেলে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা যাবে

আবাসিক হোটেলে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা যাবে
MostPlay

থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাজধানীতে উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান, সমাবেশ, নাচ, গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে আবাসিক হোটেলগুলোতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করা যাবে। মহানগরের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তায় এবং প্রকাশ্য স্থানে কোনো ধরনের জমায়েত, সমাবেশ, উৎসব করা যাবে না।

কোথাও কোনো ধরনের আতশবাজি বা পটকা ফোটানো যাবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ছয়টার পরে বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত যানবাহন পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নগরবাসীকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা, কর্মচারীদেরকে শুক্রবার রাত ৮টার মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় প্রত্যাবর্তন করবেন এবং ৮টার পরে প্রবেশের ক্ষেত্রে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদেরকে পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে।

গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় রাত ৮টার পর বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবে না। তবে ওই এলাকায় বসবাসরত নাগরিকরা নির্ধারিত সময়ের পর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী ক্রসিং দিয়ে পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন।

একইভাবে উপর্যুক্ত সময়ে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় যেসব নাগরিক বসবাস করেন না তাদেরকে বর্ণিত এলাকায় গমনের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হলো। ডিএমপি আরও বলছে, হাতিরঝিল এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে কোনো সমাবেশ বা অনুষ্ঠান করা যাবে না এবং কোনো যানবাহন থামিয়ে অথবা পার্কিং করে কেউ অবস্থান করতে পারবে না।

গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদের রাত ৮টার মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুরোধ করা হলো। সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীর কোনো বার খোলা রাখা যাবে না। ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সব প্রকার লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ করা হলো।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এসব নির্দেশনাপালনে ব্যর্থ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।

সেখানে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান না করার অনুরোধ জানান ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কশিনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান প্রমুখ।

মহানগরবাসীকে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে কমিশনার বলেন, বিগত দুটি বছর আমাদের খুব খারাপ কেটেছে। সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা আগামী নতুন বছরে যেন করোনা থেকে মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারি। তিনি বলেন, সাধারণত আমাদের টিনএজ সন্তানরাই পটকা ও আতশবাজি ফুটিয়ে থাকে।

এতে অসুস্থ ও বয়স্করা অস্বস্তি ও ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। তিনি তাদেরকে এগুলো না ফুটানোর জন্য অনুরোধ করেন। সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নববর্ষ উপলক্ষে কোনো প্রকার হুমকি নেই।’ এ ছাড়া ইংরেজি নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বেশকিছু নির্দেশনা প্রদান করেছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password