হাটে ছাগল আছে ক্রেতা নেই

হাটে ছাগল আছে ক্রেতা নেই

ঈদুল আজহা উপলক্ষে নওগাঁর মান্দা উপজেলার চৌবাড়িয়া পশুর হাটে কোরবানির গরু-ছাগল বেচাকেনা শুরু হয়েছে। তবে এখনও আশানুরূপ ক্রেতা পাচ্ছেন না বিক্রেতা ও হাটের ইজারাদার।

নওগাঁর সবচেয়ে বড় ছাগলের হাট চৌবাড়িয়া। এ হাটে ক্রেতা কম। শুক্রবার (১৬ জুন) হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটে ঘোরাঘুরি করছেন ক্রেতা-বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা। চলছে দরদাম। বিভিন্ন উপজেলা থেকে ব্যবসায়ী ও খামারিরা ট্রাক ও অটোরিকশায় করে ছাগল আনছেন হাটে। কিন্তু হাটভর্তি ছাগল থাকলেও ক্রেতার দেখা মিলছে না।

কৃষক ও খামারিরা জানান, অত্যন্ত গরমের কারণে বাইরের ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা আসেননি। তাই হাটে ক্রেতার সংকট। লোকসান দিয়ে ছাগল বিক্রি করছেন কেউ কেউ। তবে অনেকে সারাদিন অপেক্ষার পরও ক্রেতা না পেয়ে ছাগল নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

চৌবাড়িয়া হাটে খাসি নিয়ে আসা ব্যবসায়ী আইনাল বলেন, পাঁচটি খাসি এনেছি। একটি বিক্রি করেছি কিন্তু বাকী গুলো বিক্রি করতে পারিনি। এখনও হাট জমে উঠেনি। ক্রেতা নেই। আশা করছি, দু-একদিনের মধ্যে ক্রেতা আসতে শুরু করবে। শুক্রবার সকালে হাটে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশ ও খুঁটি দিয়ে হাট সাজানো হয়েছে। রঙিন কাপড় দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে হাসিল আদায়ে স্বেচ্ছাসেবীদের স্থান। হাটে ছোট-বড়, মাঝারি-সব আকারের প্রচুর খাসি আছে। তবে সবচেয়ে বেশি আছে মাঝারি আকারের খাসি। এসব খাসির দাম ২০ হাজার টাকার বেশি চাইছেন বিক্রেতারা। ছোট খাসি ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা এবং বড়গুলো ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। কিন্তু মাঝারি সাইজের খাসি ১৪ থেকে ১৬ হাজার টাকায় এবং ৩০ কেজি ওজনের খাসি ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

হাট সংশ্লিষ্টরা জানান, চৌবাড়িয়া প্রতি বছর সপ্তাহে শুক্রবারের দিন হাট বসে। শুধু কোরবানি ঈদের আগে সপ্তাহখানেক হাট বসে চাহিদার উপরে ২দিন। বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে খাসি বেচাকেনা করতে আসেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। এছাড়া আবহাওয়ার প্রভাবও পড়েছে পশুর হাটে। ফলে খাসি বিক্রি কম।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password