সাভার ও চট্টগ্রামে পেট্রোল ঢেলে দুই বাসে আগুন দিলো দুর্বৃত্তরা

সাভার ও চট্টগ্রামে পেট্রোল ঢেলে দুই বাসে আগুন দিলো দুর্বৃত্তরা
MostPlay

সাভারের হেমায়েতপুরে মধুমতি মডেল টাউনের সামনে ভোরে রিমি ট্রাভেলস নামে একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পুলিশ জানায়, অবরোধ সমর্থকদের মিছিল থেকে বাসটিতে হামলা চালানো হয়। তাদের লক্ষ্য ছিলো বেশ কিছু বাসে আগুন দেয়া। কিন্তু বাস চালক-শ্রমিকদের প্রতিরোধের কারণে তা সম্ভব হয়নি। ২ জনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

অবরোধের দ্বিতীয় দিন আজ বুধবার (১ নভেম্বর) সাভারের হেমায়েতপুরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি দূরপাল্লার বাসে পেট্রোল ঢেলে অগ্নি সংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। বলিয়ারপুর এলাকায় বুধবার সকাল ছয়টার দিকে এ ঘটনার অবতারণা হয়। সাভার ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার ভোরে বাসে অগ্নি সংযোগের খবর জানান স্থানীয়রা।

পরে দ্রুত আমাদের তিনটি ফায়ার ইউনিট নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ২০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। ততক্ষণে পুরো বাসটি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’ দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় হঠাৎ ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত এসে বাসটিতে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

অবরোধের দ্বিতীয় দিন আজ বুধবার চট্টগ্রামে একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। এদিন সকাল আটটার দিকে নগরের কর্ণফুলী থানার ভেল্লাপাড়া ব্রিজ এলাকায় অগ্নি সংযোগের এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে এখনও কোনো হতাহতের খবর আসেনি।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন আজ সকালে গণমাধ্যমকে বলেন, পোশাক কারখানার শ্রমিকদের নামিয়ে দিয়ে বাসটি কর্ণফুলী থেকে পটিয়ার দিকে যাচ্ছিল। সামনে অবরোধকারীদের দেখে বাসটি ফিরে আসার চেষ্টা করে। পরে অবরোধকারীরা বাসটি আটকে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাসের চালক ও সহকারী দ্রুত নেমে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান।

ওসি আরও বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন দ্রুত এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আগুন দেওয়ার আগে স্লোগান দিয়ে বাসটি ভাঙচুর করা হয়। পরে সেখানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে বাসটি পুড়ে যায়।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার নগরের ইপিজেড ও বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় দুটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এদিকে অবরোধের দ্বিতীয় দিন আজও দূরপাল্লার বাস চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়নি। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। রাস্তায় রিকশা সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করছে বেশি। ব্যক্তিগত গাড়ি ও গণপরিবহনের সংখ্যা কম। নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

এর আগে গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করে বিএনপি। একইদিন আরামবাগে সমাবেশ করে জামায়াত। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া জামায়াতের কর্মসূচি শেষ হলে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে এক পুলিশ নিহত হওয়া ছাড়াও ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে বিএনপি। পরে একই কর্মসূচি ঘোষণা করে জামায়াত। এরপর ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা দিন সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দেয় বিএনপি। একই কর্মসূচি ঘোষণা দেয় জামায়াতও।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password