যশোরে স্বামীর পাশবপক অত্যাচারে মিমি খাতুন (২৭) নামে স্বামীর নির্যাতনে পাগল অবস্থায় এসে পৌছেছে বলে তার পরিবার জানিয়েছেন। তার মরিয়ম নামের ১ বছরের একটি ছোট্ট মেয়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।
মিমি যশোর সদরের এনায়েতপুর এলাকার মঁঃ সফিয়ার রহমানের মেয়ে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছে বলে জানান। মায়ের অভিযোগ দীর্ঘ দিন ধরে নির্যাতনের ফলে এমন হয়েছে বলে জানান।
মা সোনিয়া বেগম বলেছেন, ৩ বছর আগে মেয়ের বিয়ে দিয়েছি।
বিয়ের পর সংসারের সকল জিনিসপত্রসহ নগদ ১ লাখ টাকা দিয়েছি। এরপর তাদের সংসার ভালোই চলছিলো। বছর পার হলে শুরু হয় ঝামেলা। প্রায় সময় মেয়ে বলতো স্বামী তাকে মারধর করেছে। মানসম্মানের ভয়ে কিছু করা যায়নি। পরে মেয়ে গর্ভবতী হলে কিছুদিন ভালো ছিলো।
তাদের এখন ১ বছরের একটি বাচ্চা রয়েছে। আবারো জামাই আগের মতো ঝামেলা শুরু করেছে। ছোট খাটো বিষয়ে মিমিকে মারধর করে জানা গেছে। আবার অনেক সময় কোনো কারন ছাড়াই মারধর করে। এখন আমার মেয়ে পাগলের মতো ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন।
আমরা এর বিচার চাই। তবে মানসম্মানের ভয়ে মামলা করতে পারছি না।
অভিযুক্ত আলমগীর বাপ্পী। তিনি সাতক্ষিরা সদর উপজেলার বৈকারি গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়া উপজেলার কেড়াগাছি দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
তার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। পরে তার সাথে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন