ইসরায়েলের পতাকাবাহী সব বাণিজ্যিক জাহাজকে মালয়েশিয়া তার বন্দরে নোঙর করা থেকে নিষিদ্ধ করেছে। ইসরায়েল ‘ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও বর্বরতার’ মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে—এমন অভিযোগ এনে গাজা যুদ্ধের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। মালয়েশিয়া তার বন্দরে ইসরায়েলের পতাকাবাহী জাহাজ ভেড়া নিষিদ্ধ করেছে।
এছাড়া দেশটির যে কোন বন্দরে ইসরায়েলগামী জাহাজে পণ্য তোলার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কুয়ালালামপুর। আলজাজিরা বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বুধবার ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজের ওপর সামুদ্রিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন।
এ ছাড়া আনোয়ার ইব্রাহিম এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরায়েলে যাওয়ার পথে জাহাজগুলোকে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশের যেকোনো বন্দরে অবিলম্বে কার্গো লোড করতে বাধা দেওয়া হবে। মালয়েশিয়ার জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশ মুসলিম। দেশটি ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখে না এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন বিরোধের দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করে।
আলজাজিরা বলেছে, নিষেধাজ্ঞাগুলো ইসরায়েলের কর্মের প্রতিক্রিয়া, যা মৌলিক মানবিক নীতিগুলোকে উপেক্ষা করে এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যা ও বর্বরতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে। মালয়েশিয়া দেশে নোঙর করার জন্য ইসরায়েলি পতাকা ব্যবহার করা জাহাজগুলোকে আর গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ইসরায়েলগামী যেকোনো জাহাজকে মালয়েশিয়ার বন্দরে কার্গো লোড নিষিদ্ধ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘এই উভয় নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে কার্যকর হবে।’ গণমাধ্যমটি বলেছে, মালয়েশিয়া গাজাকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার সাহায্য করেছে এবং আনোয়ার ইব্রাহিম ফিলিস্তিনি ইস্যুকে সোচ্চারভাবে সমর্থন করেছেন। ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের নিন্দা করেছেন।
অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৯ হাজার ৬৬৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলায় প্রায় এক হাজার ১৪০ জন নিহত হওয়ার পর যুদ্ধ শুরু হয়। হামাসের সঙ্গে কুয়ালালামপুরের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন