প্রেমের বিয়ে, ১৪ বছর পর স্ত্রীকে হত্যা

প্রেমের বিয়ে, ১৪ বছর পর স্ত্রীকে হত্যা
সম্পর্ক করে বিয়ের ১৪ বছর পর স্ত্রীকে হত্যার দায়ে রাজু আহম্মেদ নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। ২০ সেপ্টেম্বর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বিকেলে তাকে আদালতে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। গ্রেফতার রাজু আহম্মেদ জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের মো. আবু বকরের ছেলে। 

গাজীপুর পিবিআইর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে পিবিআই তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করে আত্মীয়দের খবর দেয়। পরে এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. সুজা মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন। তিনি বলেন, রাজু আহমেদ সফিপুর পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় লিবার্টি গার্মেন্টসে ডায়িংয়ের কিউসি হিসাবে চাকরি করেন এবং তার স্ত্রীর জরিফুল মৌচাক নিটে চাকরি করেন। ২০০৭ সালে তারা প্রেম করে বিয়ে করেন।

তাদের সংসারে আট বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে।পাশের রুমের এক ভাড়াটিয়ার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে রাজুর স্ত্রী। বিষয়টি টের পেয়ে চলতি মাসের এক তারিখে ওই বাসা ছেড়ে দেন তিনি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতো। গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে রাজুর সঙ্গে তার স্ত্রীর বেতনের টাকা নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। এসময় তিনি রাজুর বাবা মাকে নিয়ে গালিগালাজ করেন। আসামি স্ত্রীর ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন। পর দিন দুপুরের খাবারের বিরতিতে জরিফুলকে কৌশলে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে নিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য পকেটে থাকা ব্লেড দিয়ে ডান হাতের কব্জির নিচে কেটে দেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password