২১ বছর বয়সী মিলি (ছদ্মনাম)। পরিচয় হয় দর্জি ব্যবসায়ী মিঠুর সঙ্গে। কথা বলতেন ইমোতে। সরল মনে কথা বললেও মিঠুর মনে ছিল কুবুদ্ধি। ভিডিও কলে প্রায়ই মিলিকে বিবস্ত্র করাতেন মিঠু। আর নিজের মোবাইলেই ধারণ করতেন সেই আপত্তিকর ভিডিও। এরপর চাপ দিতেন শারীরিক মেলামেশার জন্য। আপত্তি করলেই ভয় দেখাতেন ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার। তবে বেশি দূর যেতে পারলেন না, ধরা পড়েছেন র্যাবের হাতে। মিঠুর পরো নাম মো. শাহীন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সামসেরাবাদ গ্রামে নিজের দোকান থেকে তাকে আটক করে র্যাব। মিঠু একই গ্রামের শাহজাহানের ছেলে। তিনি পেশায় দর্জি ব্যবসায়ী। শুক্রবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার এডিশনাল এসপি খন্দকার মো. শামীম হোসেন জানান, পেশায় দর্জি ব্যবসায়ী হলেও মিঠু অভ্যাসগত যৌন অপরাধী। তার মূল টার্গেট উঠতি বয়সী তরুণীরা।
শামীম হোসেন বলেন, পরিচয় হওয়ার সুবাদেই মিঠুর সঙ্গে ইমোতে ভিডিও কলে কথা বলতেন ওই তরুণী। তবে প্রায়ই তাকে বিবস্ত্র করাতেন মিঠু। এরপর তরুণীর অজান্তেই মোবাইলে ভিডিওটি ধারণ করতেন। পরে শারীরিক মেলামেশা না করলে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখাতেন। এমনকি আপত্তিকর ভিডিও আত্মীয়-স্বজনের কাছেও পাঠানোর হুমকি দিতেন। বিষয়টি ভুক্তভোগী তরুণী বুঝতে পেরে র্যাবের দ্বারস্থ হন।
পরে অভিযান চালিয়ে মিঠুকে আটক করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি মুঠোফোন, একটি মেমোরি কার্ড ও দুটি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মিঠুর বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। মামলায় তাকে আটক দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন