গুলশান অগ্নিকাণ্ড: আশঙ্কাজনক নারীর চিকিৎসায় বাড়লো মেডিকেল বোর্ডের সদস্য

গুলশান অগ্নিকাণ্ড: আশঙ্কাজনক নারীর চিকিৎসায় বাড়লো মেডিকেল বোর্ডের সদস্য
MostPlay

গুলশানের ১২ তলা আবাসিক ভবনে লাগা ভয়াবহ আগুনে দগ্ধ শামা রহমান নামের ওই নারীর চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ১৮ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। দগ্ধ ওই নারী বর্তমানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দিকে গুলশানে লাগা আগুনে দগ্ধ হন শামা রহমান। তার শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। আগুন লাগার পর বহুতল ভবন থেকে নিচে লাফিয়ে পড়েন ওই নারী। এতে তার শরীরে আরও আঘাত লেগেছে। গুলশানের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আশঙ্কাজনক শামা রহমানের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডে আরও ৭জন চিকিৎসককে যুক্ত করা হয়েছে।

অর্থাৎ এখন ২৫ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরেই প্রথমে ১৮ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। ইতোমধ্যেই তারা প্রথম বৈঠক শেষ করে আশঙ্কাজনক ওই নারীর চিকিৎসা শুরু করেছেন। পরীক্ষা-নীরিক্ষাও করা হয়েছে।

তাকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে ওই নারী ঝুঁকিমুক্ত নয়। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দিকে গুলশানে লাগা আগুনে দগ্ধ হন শামা রহমান। তার শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। আগুন লাগার পর বহুতল ভবন থেকে নিচে লাফিয়ে পড়েন ওই নারী। এতে তার শরীরে আরও আঘাত লেগেছে।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। শামা ছাড়াও এ ঘটনায় আরও ২ জন আহত হয়েছেন। তাদেরও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তারা এখন ঝুঁকিমুক্ত আছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে, এ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন ২ জন।

প্রসঙ্গত, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গুলশান দুই নম্বর এলাকার ১২ তলা আবাসিক ভবনে আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট। আগুন থেকে রক্ষা পেতে ভবনের বাসিন্দাদের অনেকেই আশ্রয় নেন ছাদে। বড় মই দিয়ে কয়েকজনকে উদ্ধারও করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

ততক্ষণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে উপরের ফ্লোরগুলোতেও । আগুনের ভয়াবহতা বাড়তে থাকলে ফায়ার সার্ভিসের আরও ১৬টি ইউনিট যোগ দেয়। সাথে যোগ দেয় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও। দ্রুত উদ্ধার কাজে অংশ নেন তারা। মোট ১৯টি ইউনিটের চেষ্টায় ৫ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এত দীর্ঘ সময় লাগার পেছনে উৎসুক জনতার ভিড়কেই দায়ী করেছেন ফায়ার সার্ভিস, মেয়র এবং নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password