ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদলের দু'গ্রুপের সংঘর্ষ; ককটেল বিস্ফোরণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদলের দু'গ্রুপের সংঘর্ষ; ককটেল বিস্ফোরণ

কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রদলের দুই গ্রুপ। পুলিশ জানায়, ছাত্রদলের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির নেতারা সকালে বিরাসা এলাকা থেকে আনন্দ মিছিল বের করে। খৈয়াসার এলাকায় পৌঁছালে জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ফুজায়েল চৌধুরীর নেতৃত্বে পদবঞ্চিতরা তাদের বাধা দেয়। এসময় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ হয় এসময়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে অর্ধশতাধিক ককটেলের। সোমবার (১২ জুন) সকালে শহরতলীর বিরাসার বাসস্ট্যান্ড মোড়ে ও খৈয়াসার রোডে এ সংঘর্ষ ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার জেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণার পর থেকে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন পদবঞ্চিতরা। এরই জের ধরে গেল শুক্রবার ও শনিবার জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ভিপি শামীম, ছাত্রদলের নতুন আহ্বায়ক শাহিনুর রহমান শাহীনসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বাড়িতে দফায় দফায় হামলা ও ভাঙচুর করেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।

সোমবার সকালে শহরের লোকনাথ ট্যাংকের পাড়ে বিবদমান দুই পক্ষই কর্মসূচির ডাক দেয়। তবে পুলিশের অনুমতি না থাকায় ছাত্রদলের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ বিরাসা থেকে শুভেচ্ছা মিছিল করতে চাইলে জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ফোজায়েল চৌধুরীর নেতৃত্বে পদবঞ্চিতরা ককটেল ছুড়তে থাকেন।

এসময় নতুন কমিটির নেতাকর্মীদের পক্ষে যুবদল, কৃষকদলের নেতাকর্মীরাও প্রতিরোধ গড়ে তুললে দুই পক্ষই ককটেল ও দা’সহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে টিয়ারগ্যাস ছুড়ে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই সংঘর্ষ ও উত্তেজনা চলছে। সোমবার সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে টিয়ারগ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ফের সংঘর্ষ এড়াতে শহরজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password