পুরুষ সহকর্মীদের হাত পকেটে রাখার আহ্বান ব্রিটিশ নারী এমপির

পুরুষ সহকর্মীদের হাত পকেটে  রাখার আহ্বান ব্রিটিশ নারী এমপির
MostPlay

পার্লামেন্টে কাজ করা সব নারীকেই অবাঞ্ছিত স্পর্শ এবং যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কথার শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ করেছেন ব্রিটিশ বাণিজ্যমন্ত্রী আন-মারি ট্রেভেলিয়ান। ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রেভেলিয়ান বলেছেন, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে কাজ করা সব নারীই অবাঞ্ছিত স্পর্শের শিকার হতে হয়। এজন্য সহকর্মীদের নিজেদের পকেটে হাত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।

ট্রেভেলিয়ান বলেন, কিছু পুরুষ রাজনীতিবিদ বিশ্বাস করেন যে, ক্ষমতাশীল পদে নির্বাচিত হওয়ায় নারীরা তাদের ‘ঈশ্বরের উপহার’ মনে করেন। স্কাই নিউজকে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি পার্লামেন্টে নারী হিসেবে আমরা সকলেই অনুপযুক্ত ভাষা এবং স্পর্শের শিকার হয়েছি এটি কখনোই, কোনো পরস্থিতিতেই ঠিক নয়।

ওয়েস্টমিনস্টারেও এটা ঠিক নয়। পুরুষ সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনার পকেটে হাত রাখুন এবং আপনার নিজের মেয়ে সেই কক্ষে থাকলে যেমন আচরণ করতেন, তেমন আচরণ করুন।’ ট্রেভেলিয়ান আরও বলেন, ‘কয়েকজন আছেন যারা খুব বেশি মদ্যপান করেন বা তাদের এমন এক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে যে নির্বাচিত হওয়ায় তারা নিজেদেরকে নারীদের কাছে ঈশ্বরের উপহার মনে করা শুরু করেন।

আমি সবসময় নারীদের উৎসাহিত করবো যাতে তারা এমন আচরণের কথা প্রকাশ্যে বলতে পারে। তবে অল্পবয়সীদের জন্য এটা বেশ কঠিন, বিশেষ করে যেখানে ক্ষমতার পার্থক্য অনেক বেশি।’ এদিকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এক সদস্য হাউস অফ কমন্সের বিতর্ক চেম্বারে বসে পর্নোগ্রাফি দেখেছেন এমন অভিযোগের তদন্ত করার পর আইন প্রণেতাদের আচরণ কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

যে কোনো কর্মক্ষেত্রে পর্নোগ্রাফি দেখা একটি অগ্রহণযোগ্য আচরণ বলে বৃহস্পতিবার মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এটিই ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রথম অসদাচরণ সংক্রান্ত কেলেঙ্কারি নয়। ২০১৭ সালে হলিউডে নারীদের ওপর যৌন অসদাচরণের বিরুদ্ধে ‘মি টু’ আন্দোলনের প্রভাব পড়ে ব্রিটেনের পার্লামেন্টেও। তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন তার বিরুদ্ধে আসা অসদাচরণের অভিযোগ স্বীকার করে পদত্যাগও করেছিলেন।

পরের বছর প্রকাশ হওয়া একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, পার্লামেন্টে কর্মরত প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন তার আগের বছর যৌন হয়রানি বা অসদাচরণের শিকার হয়েছেন। এরপর পার্লামেন্ট কর্তৃপক্ষ সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, বিশেষ করে হয়রানি সংক্রান্ত অভিযোগ করার পদ্ধতিতে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি খুব একটা বদলায়নি।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password