স্কুল ফিডিংয়ের ৩ লাখ প্যাকেট বিস্কুট ধ্বংস

স্কুল ফিডিংয়ের ৩ লাখ প্যাকেট বিস্কুট ধ্বংস

জামালপুরের মাদারগঞ্জে স্কুল ফিডিংয়ের বিস্কুট খেয়ে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিপুল পরিমাণ নিম্নমানের বিস্কুট ধ্বংস করেছে কর্তৃপক্ষ। গত মার্চ মাসে নিম্নমানের ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৫০০ প্যাকেট বিস্কুট মাদারগঞ্জ উপজেলার ২ শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য পাঠানো হয়।

দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচির মাদারগঞ্জ উপজেলার দায়িত্বে থাকা এনজিও উন্নয়ন সংঘের মনিটরিং ও রিপোটিং অফিসার তপন মাহমুদ জানান, গত মার্চ মাসে খুলনা থেকে হুগলি বিস্কুট কোম্পানির ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৫০০ প্যাকেট (২৬.২১২৫ টন) বিস্কুট মাদারগঞ্জ উপজেলায় আসে। 

ওই সময় ৪-৫টি স্কুলের শিক্ষার্থীর মধ্যে কিছু বিস্কুট বিতরণের পর শিক্ষার্থীরা বিস্কুট খেয়ে অসুস্থ বোধ করে (বমি ও বমি বমি ভাব হয়)। এ অবস্থায় তিনি অন্য স্কুলগুলোতে বিস্কুট বিতরণ বন্ধ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানান।পরে দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি তদন্ত করে হুগলি বিস্কুট কোম্পানির ওই বিস্কুটগুলো নিম্নমানের বলে প্রমাণ পান। 

বুধবার পৌর এলাকার খরকা বিলের ধারে একটি নিচু স্থানে ৩ হাজার ৪৯৫ কার্টুনে থাকা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৫০০ প্যাকেট বিস্কুট বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে ও আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামের সহকারী প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আবু ছাইদ, মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিনিধি পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামের বিস্কুটের মান দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ঢাকার বনানীর কন্ট্রোল ইউনিয়ন বাংলাদেশের সিনিয়র ইন্সপেক্টর বশির উদ্দিন, হুগলি বিস্কুট কোম্পানির কোয়ালিটি কন্ট্রোল ম্যানেজার তানজীব আহমেদ, উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক রফিকুল আলম মোল্লা, মনিটরিং ও রিপোর্টিং অফিসার তপন মাহমুদ প্রমুখ। 

স্কুল ফিডিং কর্মসূচির সহকারী প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আবু ছাইদ জানান, নিম্নমানের বিস্কুট সরবরাহের জন্য হুগলি বিস্কুট কোম্পানির কাছ থেকে উল্লেখিত পরিমাণ ভালোমানের বিস্কুট আদায় করাসহ ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password