অপহরণ নাটক সাজিয়ে ফেঁসে গেলেন ৩ কর্মচারী

অপহরণ নাটক সাজিয়ে ফেঁসে গেলেন ৩ কর্মচারী

কুমিল্লার হোমনায় টাকা আদায় করতে অপহরণ নাটক সাজিয়ে ফেঁসে গেলেন ৩ ওয়ার্কশপ কর্মচারী। বুধবার উপজেলার কাশিপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার বালুয়াকান্দি গ্রাম থেকে ওই তিন কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে এদের কোর্টের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। 

আটকরা হলেন -  উপজেলার মাইজচর গ্রামের মমতাজ মিয়ার ছেলে সুমন (২০), বালুয়াকান্দি গ্রামের মিজান মিয়ার ছেলে হারিছ (৩০) ও দেবিদ্বার উপজেলার বাড়েরা গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে আবু বক্কর (৩২)।

গ্রেফতারের সময় দেখা গেছে, ‘অপহৃত’ সুমন তার বন্ধু হারিছের বাড়িতেই বহাল তবিয়তে অবস্থান করছে।পরে পুলিশি জেরায় সুমন স্বীকার করেন যে, তিনি অপহৃত হননি। টাকা আদায়ের উদ্দেশে অপহরণের নাটক সাজিয়েছেন এ তিন কর্মচারী।

থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাশিপুর বাজারের জসীম উদ্দিনের ওয়ার্কশপের কাজ করতেন এই তিন অভিযুক্ত অপহরণকারী।  বুধবার রাত ৮ টার দিকে ওয়ার্কশপ বন্ধ করে তারা যে যার বাড়ি চলে যান। রাত সোয়া ১০টার দিকে সুমনকে অপহরণ করার নাটক সাজিয়ে একটি অপরিচিত মোবাইল নাম্বার থেকে মালিক জসিমের নিকট ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।  টাকা পাঠানোর জন্য একটি বিকাশ নম্বর দেয় তারা। টাকা না পেলে সুমনকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়। 

ওই রাতেই ওয়ার্কসপের মালিক জসীম উদ্দিন হোমনা থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন।এ ব্যাপারে ওয়ার্কশপের মালিক জসীম উদ্দিন জানান, অপরিচিত নাম্বার থেকে কল দিয়ে সুমনকে অপহরণের কথা বলা হয় আমাকে।  সুমন নিজেও ফোনে কান্নাকাটি করে টাকা পাঠানোর কথা বলে।  টাকা না দিলে অপহরণকারীরা সুমনকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।  আমি বুধবার রাতেই হোমনা থানায় একটি সাধারণ
ডায়েরী (জিডি) করি।

হোমনা থানার অফিসার ইনজার্জ (ওসি) মো. আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, আসামিরা অপহরণ নাটক সাজিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। আমরা তাদের মোবাইল নাম্বার ট্র্যাকিং করে ৩ বন্ধুকে বৃহস্পতিবার ভোরে তাদেরই একজনের বাড়ি থেকে আটক করি।  কোর্টের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাদের।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password