মাত্র ত্রিশ সেকেন্ডের কিলিং মিশনে হত্যা করা হয় আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে। কদিন আগে জীবননাশের হুমকি পেলেও পুলিশকে কিছু জানাননি। কদিন পরই শত শত মানুষের সামনে গুলিতে প্রাণ দিতে হলো তাকে। ১২ রাউন্ড গুলি করে খুনিরা।
পুলিশ বলছে, মিশনে অংশ নেয় অন্তত দুইজন। হত্যাকারীরা অতি পেশাদার বলছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হয় কলেজ ছাত্রী প্রীতিও। এই ঘটনায় শাহজাহানপুর থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। রাজধানীর শাহজাহানপুরে যানজটে আটকে থাকা প্রাইভেটকারের সামনের সিটে বসা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে এক দুর্বৃত্ত। বেশ কয়েক রাউন্ড এলোপাতাড়ি গুলি করে দুর্বৃত্তকারীর। এরপর রাস্তা পার হয়ে মোটরসাইকেলে আগে থেকেই অবস্থান করা আরেক ব্যক্তিকে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
সিসিটিভি ফুটেজ এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আহাদ শুক্রবার (২৫ মার্চ) বলেন, ‘শাহজাহানপুর থানায় দায়ের করা মামলায় সব বিষয় মাথায় রেখেই তদন্ত করা হচ্ছে।
এ হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলমান রয়েছে।’ পুলিশ বলছে, ঘটনাস্থলে ১২টি গুলির খোসা পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ১২ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে টিপুকে হত্যা নিশ্চিতের জন্য।’ জানা গেছে, জাহিদুল ইসলাম টিপুকে মোবাইলে কে বা কারা কয়েকদিন আগে হুমকি দিয়েছিল। হুমকি পাওয়ার চার থেকে পাঁচ দিনের মাথায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন তিনি।
নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপু রাজধানীর গুলশানে মিল্কি খুনের ঘটনায় চার্জশিটভুক্ত আসামি ছিলেন। এ ঘটনায় তিনি জেলও খেটেছেন। পরে ওই হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় মামলার চার্জশিট থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আর এ ঘটনায় মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদটিও হারান তিনি। তবে তার স্ত্রী ফারহানা ইসলাম ডলি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার ১, ১১, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন