যেকোন সময় যেকোণ খাবারের সাথে সাদা লবন খাই কিন্তু আদৌ জানিনা এই এই সাদা লবন মানুষের শরিরে কতটা ক্ষতি করে জানা। অথচ প্রতিদিনই আপনার খাবারে ব্যবহার করছেন সাদা নুন। তাই খাবাবের সাথে সাদা লবন না খেয়ে বিট লবন খাওয়া ভাল। আসলে বিট লবনের উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের খুব একটা স্বচ্ছ্ব ধারণা নেই। তাই আমরা সচেতনভাবে খুব একটা বিট লবন খাই না। কিন্তু জানেন কি, শারীরিক অনেক সমস্যা ও রোগ থেকে সহজেই মুক্তি দিতে পারে বিট লবন?

১.  কী কী উপকারিতা রয়েছে বিট লবন? ধরুন আপনার বদহজমের সমস্যা হয়েছে, একটু বমিভাবও দেখা দিয়েছে। বিট লবন খেলে এই সমস্যা কমবে। কারণ এই লবন শরীরের হজমশক্তি বাড়ায়।

২. আপনি কি ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন? নিয়মিত খান বিট লবন। এতে ওজন কমবে দ্রুত। কারণ বিট লবন শরীরের কোষগুলোতে ঠিক পরিমাণে পুষ্টি সরবরাহ করে, ফলে মেদ থাকে নিয়ন্ত্রণে।

লবন কি কেবল রান্নাতেই লাগে? ঘরোয়া জিনিসও পরিষ্কার হবে লবনেই । ডিম পচা কি না বলে দেবে লবন? নুনের অজানা কয়েকটি ব্যবহার জেনে নিন

৩. বিট লবনে যে সব খনিজ থাকে, তাতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল উপাদান। ফলে এটি নিয়মিত খেলে শরীরে ব্যাকটিরিয়াজাত সংক্রমণের আশঙ্কা কমে।

৪. আপনি কি একটুতেই কাহিল হয়ে পড়েন? শারীরিক শক্তির অভাব মেটাবে বিট লবন। এতে সোডিয়াম বেশি থাকায় শরীর অনেক বেশি তরতাজা হয়ে ওঠে।

৫. হাড়ের ক্ষয় রোধ করার জন্য কী করবেন ভাবছেন? বিট লবন খান। বিট লবনে পুষ্টি উপাদান ও খনিজের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এটি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে হাড় মজবুত হয়।

৬. বিট নুন খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভুগছেন যাঁরা, তাঁরা সাদা নুন না খেয়ে বিট লবন খেলে উপকার পাবেন। কী ভাবে খাবেন? ঘুম থেকে উঠে সকাল বেলা বিট নুন খেতে পারেন। এক গ্লাস জল গরম করে তাতে বিট লবন মিশিয়ে দিন। এবার সেই বিট লবন মেশানো জলটা খান, রোগ ব্যাধি দূরে থাকবে।