পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা, স্ত্রীসহ প্রেমিক আটক

পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা, স্ত্রীসহ প্রেমিক আটক

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পরকীয়ার জেরে স্বামী তোফাজ্জল হোসেন তোতাকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী সাথী ও পরকীয়া প্রেমিক উজ্জ্বলকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার পাথালিয়া এলাকা থেকে প্রথমে সাথী খাতুনকে পরে প্রেমিক উজ্জ্বলকে আটক করা হয়।

এ ঘটনায় তোফাজ্জল হোসেন তোতার ছোট ভাই তারা মিয়া বাদী হয়ে নিহতের স্ত্রী সাথী খাতুন, তার প্রেমিক উজ্জ্বল এবং তার সহযোগী আব্দুল জলিলকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, নিহত তোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী সাথী খাতুনের সাথে উজ্জ্বলের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। শুরু হয় অবৈধ মেলামেশা। বিষয়টি তোফাজ্জল হোসেন তোতা জানার পর উভয়কেই নিষেধ করে। তারই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজমিস্ত্রির কাজ করার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। এ ঘটনায় সাথী খাতুন শুক্রবার কালিহাতী থানায় একটি নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরী করেন। এ খবর শুনে তোতার স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে জানতে পারে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাথালিয়া বাজারে ঘোরাফেরা করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল তোতা।

এদিকে আসামী জলিলের বাড়ির পাশে তোতার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়। অপরদিকে ওইদিন দুপুরে ওই গ্রামের মোকছেদ আলী তার বাড়ির পূর্ব পাশে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকের মাটির পাট ভাঙ্গা এবং স্লাপ পরিবর্তন করা দেখতে পান। এই বিষয়টি তিনি স্থানীয় মেম্বার ও এলাকাবাসীদের জানান। পরে তোতার নিখোঁজ হওয়ার খবর শুনে স্থানীয়রা ওই ঘটনাটি আমলে নিয়ে কালিহাতী থানা পুলিশকে খবর দেয়।

পরে শনিবার বিকেলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেপটিক ট্যাংক থেকে একটি লাশ উদ্ধার করে। লাশটি দেখে স্থানীয় লোকজন নিখোঁজ তোতার লাশ বলে সনাক্ত করেন।
এ ঘটনায় শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার পাথালিয়া এলাকা থেকে স্ত্রী সাথী খাতুন ও প্রেমিক উজ্জ্বলকে আটক করে কালিহাতী থানা পুলিশ।

এ বিষয়ে কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, তোফাজ্জল হোসেন তোতা রাজমিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি নিখোঁজ হয়। সেই প্রেক্ষিতে তার স্ত্রী সাথী থানায় এসে প্রথমে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। সেই ডায়েরীর সূত্রধরে তোতা মিয়াকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাই।

একপর্যায়ে জানতে পারি তার স্ত্রীসহ পরকীয়ার প্রেমিক উজ্জ্বল দু’জন মিলে তোতাকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য পার্শ্ববর্তী এক পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভিতরে ফেলে রাখে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নিহত তোফাজ্জল হোসেন তোতার ছোট ভাই তারা মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তোতার স্ত্রীসহ পরকীয়ার প্রেমিক উজ্জ্বলকে গ্রেপ্তার করে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password