এবার মুখ খুললেন বডিগার্ড

এবার মুখ খুললেন বডিগার্ড
MostPlay

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর জন্য প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীকেই দায়ী করেছেন সুশান্তের বাবা কে কে সিং। এমনকী রিয়া ও তাঁর পরিবারের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে এফআইআরও। এছাড়াও আনা হয়েছে একাধিক অভিযোগ। এরপর থেকেই সুশান্তের মৃত্যু রহস্যে ঘুরে যায় তদন্তের মোড়। বিহার পুলিশের থেকে একটি টিম মুম্বইতে এসে জেরা শুরু করে।

সেই জেরার অঙ্কিতা লোখন্ডে জানা সুশান্ত কখনও আত্মহত্যা করতেই পারেন না। এমনকী সুশান্তের ট্রেনার সামি জানান, গত বছর ডিসেম্বর থেকে সুশান্ত কিছু ওষুধ খাওয়া শুরু করেন। যার জেরে তাঁর হাত, পা কাঁপত। শরীর আগের থেকে দুর্বল হয়ে যায়। এবার বিস্ফোরক তথ্য দিলেন সুশান্তের দেহরক্ষী।

তিনি বললেন,'সুশান্ত কখনই আত্মহত্যা করতে পারেন না, এর সুবিচার চাই। তিনি জানান, সুশান্ত বেশিরভাগ সময় অসুস্থ থাকতেন এবং ঘুমের ঘোরে থাকতেন। কেউ তাঁর সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারত না। সেই সময় রিয়া চক্রবর্তী, তাঁর ভাই ও বাবা তাঁদের বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানাতেন সুশান্তের ফ্ল্যাটে। একসঙ্গে পার্টি করতেন আর জলের মতো সুশান্তের টাকা ওড়াতেন'। অভিনেতার লোনাভালার ফার্ম হাউসেই ২০১৯-এর এপ্রিল মাসে তাঁর সঙ্গে রিয়া চক্রবর্তীর প্রথম আলাপ হয়।

ওই দেহরক্ষী আরও জানান,'সুশান্তের জীবনে রিয়ার প্রবেশের পর তিনি একদম আলাদা মানুষ হয়ে যান। এরপর রিয়া সুশান্তের অ্যাকাউন্টেন্ট সহ-বাড়ির সব কর্মীদের পরিবর্তন করে দেন। শুধু তাঁকে ছাড়া। সুশান্তের পরিবারের সদস্য বলতে একমাত্র তাঁর দিদি প্রিয়াঙ্কা সিং মাঝেমধ্যেই ভাইয়ের ফ্ল্যাটে আসতেন। এই একবছরে তিনি দেখেছেন কীভাবে সুশান্তের টাকা উড়িয়ে ফূর্তি করত রিয়ার পরিবার। সবসময় পার্টি লেগেই থাকত। এই একবছরে রিয়াই সুশান্তকে শেষ করে দিয়েছে'।

সুশান্তের পরিবারের আইনজীবী জানান, রিয়া সুশান্তকে 'মানি কার্ড' হিসেবে ব্যবহার করেছিল। কারণ সুশান্ত কোনও দিনই এত খরচ করতেন না। বরাবর সাদামাটা জীবন তাঁর পছন্দ ছিল। এমনকী বাইরের দামি রেস্তোরাঁতেও খেতে যেতেন না। বাড়ির তৈরি খাবারই ছিল সবচেয়ে পছন্দের। তিনি আরও জানান, রিয়া নিয়মিত সুশান্তকে ড্রাগ খাওয়াত। এমনকী সুশান্তের ওই দেহরক্ষীই নানা অনুষ্ঠানে রিয়াকে মহেশ ভাটের অফিসে পৌঁছে দিত। রিয়ার পরিবার সুশান্তের ফ্ল্যাটটা মোচ্ছবের জন্যই ব্যবহার করত।আইনজীবী আরও জানান, কে কে সিং যে সব অভিযোগ এনেছেন সবই সত্য। দয়া করে সঠিক পথে তদন্ত হোক।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password