কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে হাজেরা বেগম (৩২) নামে এক গৃহবধূ উধাও হয়ে গেছেন। কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। তবে ওই গৃহবধূর পরিবারের দাবি, হাজেরা বেগমকে হত্যার পর লাশ গুম করেছে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
অন্যদিকে স্বামীর দাবি, টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে হাজেরা পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় হাজেরা বেগমের মা সালেহা বেগম বাদী হয়ে গত ৫ এপ্রিল কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় প্রথমে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে ৭ এপ্রিল তিনি বাদী হয়ে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির ৫ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নিখোঁজ গৃহবধূর মা সালেহা বেগম জানান, দেড় বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে হাজেরার সঙ্গে সোহেলের বিয়ে হয়। এটি উভয়ের দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে হাজেরা বেগমকে প্রায়ই নির্যাতন করত স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। হাজেরা বাবার বাড়িতে আসতে চাইলে সোহেল আসতে দিত না। হাজেরা মোবাইল ব্যবহার করত না। গত ৪ এপ্রিল মেয়ের খোঁজ নিতে সালেহা বেগম সোহেলকে ফোন করলে তিনি ধরেননি। বারবার ফোন দিলেও সাড়া না দিয়ে সোহেল মোবাইল বন্ধ করে দেয়।
একপর্যায়ে তারা ঘাটারচর সোহেলদের বাড়িতে গিয়ে হাজেরার খোঁজ করেন। এ সময় সোহেল তাদের জানায়, হাজেরা গতকাল (৩ এপ্রিল) আপনাদের বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে গেছে। এ ঘটনায় পরদিন তিনি থানায় জিডি করেন। কিন্তু পুলিশ মেয়েকে উদ্ধারে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে বুধবার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সালেহা বেগম অভিযোগ করেন, সোহেলসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন হাজেরা বেগমকে হত্যা করে লাশ গুম করেছে। সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সব জানা যাবে। কিন্তু পুলিশ সোহেলকে আটক বা জিজ্ঞাসাবাদ করছে না। হাজেরার স্বামী সোহেল জানান, পেশায় তিনি সিএনজি চালক। রোববার সকালে স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে কাজে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে তাকে পাননি।
তার অভিযোগ, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে হাজেরা বেগম পালিয়ে গেছে। কেরানীগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবীর বলেন, গৃহবধূ হাজেরা বেগমের নিখোঁজের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। জলজ্যান্ত একজন মানুষ এভাবে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাবে, তা হতে পারে না। আসলে কী ঘটেছে সেটি আমরা তদন্ত করে দেখছি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন