অমুসলিম কাউকে কি কোরবানির গোস্তো দেয়া জাবে কিনা?

অমুসলিম কাউকে কি কোরবানির গোস্তো দেয়া জাবে কিনা?
MostPlay

মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা আর মাত্র একদিন পরেই। প্রতি বছরের মত এবারও পবিত্র ঈদুল আজহা আমাদের সন্নিকটে। ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ কুরবানির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কুরবানি করার পর মাংস কাদেরকে দিবেন তারও তালিকা মনে মনে অনেকেই তৈরি করেছেন। এই কুরবানির মাংসে প্রতিবেশিরও একটি হক রয়েছে। আমাদের আশপাশে হয়ত অনেকেই রয়েছেন যারা ভিন্ন ধর্মের, অর্থ্যাৎ অমুসলিম। এক্ষেত্রে অনেকের মনেই হয়ত প্রশ্ন দেখা দিতে পারে কুরবানির মাংস অমুসলিমদের দেয়া যাবে কি না? আসুন আমরা জেনে নেই এ বিষয়ে কোরান-হাদীস কী বলে?

কোনো কোনো মুসলিমদের ধারণা কুরবানীর মাংস অমুসলিমদের দেওয়া যায় না। এ ধারণা ঠিক নয়। কুরবানীর মাংস অমুসলিমদের দেওয়া যায়। এতে অসুবিধার কিছু নেই। বিশেষত অমুসলিম যদি প্রতিবেশী হয়। কারণ, প্রতিবেশী হিসেবে তার হক রয়েছে। সাহাবীগণ অমুসলিম প্রতিবেশীর হকের প্রতি সবিশেষ লক্ষ্য রাখতেন। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.)-এর বাড়িতে একবার একটি বকরি (ছাগল) জবেহ করা হল। যখন তিনি বাড়িতে ফিরলেন জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কি আমাদের ইহুদী প্রতিবেশীকে এ গোশত হাদিয়া (দান) পাঠিয়েছ? এভাবে দু'বার জিজ্ঞেস করলেন। আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি,

প্রতিবেশীর অধিকার প্রসঙ্গে জিবরাইল (আ.) আমাকে অবিরত উপদেশ দিতে থাকেন। এমনকি আমার ধারণা হল যে, হয়ত শীঘ্রই প্রতিবেশীকে উত্তরাধিকারী বানিয়ে দিবে। (জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯৪৩)সুতরাং অমুসলিমকে কুরবানীর মাংসসহ অন্যান্য যে কোনো জিনিস দান করা যাবে। আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন:

‘দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে স্বদেশ হতে বের করে দেয়নি তাদের প্রতি মহানুভবতা প্রদর্শন ও ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। আল্লাহ তো ন্যায়পরায়নদের ভালোবাসেন।

আল্লাহ কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন, যারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে স্বদেশ হতে বের করে দিয়েছে এবং তোমাদেরকে বের করার কাজে সহায়তা করেছে। তাদের সাথে যারা বন্ধুত্ব করে তারা তো জালেম।’ (সূরা মুমতাহিনা ৬০: ৮-৯)

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password