দিনাজপুরে ট্রেনে জন্মে ট্রেনের নাম নিয়েই বাড়ি ফিরলো মিতালী

দিনাজপুরে ট্রেনে জন্মে ট্রেনের নাম নিয়েই বাড়ি ফিরলো মিতালী
MostPlay

ট্রেনে সন্তান জন্ম দেয়া মুক্তি পারভীন বাড়িতে ফিরেছেন। বুধবার দুপুরে দিনাজপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসাপাতালের গাইনি ওয়ার্ড থেকে তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। বিনা ভাড়ায় মুক্তি পারভীন ও তার সন্তানকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের গ্যাংকারে করে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে।

বিদায়ের সময় বাংলাদেশ রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহী সুফি নুর মোহাম্মদ দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনে তাদের গ্যাংকারে তুলে দেন।

অপরদিকে দিনাজপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসাপাতালের পক্ষ থেকে মুক্তি পারভীন ও নবজাতক মিতালীকে বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়ে দেয়া হয়।

বাংলাদেশ রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহী সুফি নুর মোহাম্মদ বলেন, মুক্তি পারভীন এবং তার নবজাতক পুরোপুরি সুস্থ। আমরা গ্যাংকার নিয়ে চেকিংয়ে বেরিয়েছিলাম যে, আমাদের রেলওয়ের লোকজনরা করোনাকালীন সময়ে অলস সময় পার করছেন কি না সেটা দেখতে। পাশাপাশি রেললাইন ও অন্যান্য কোনো মেরামতের কাজ রয়েছে কি না তা যাচাই করার জন্য।

এরইমধ্যে আমরা যখন জানতে পারলাম গত ৪ এপ্রিল ট্রেনে জন্ম নেয়া নবজাতক ও তার মাকে হাসাপাতাল থেকে ছুটি দেয়া হবে, তখন করোনাকালীন সময়ে লকডাউনের মধ্যে মা ও সন্তানের যাতায়াতের জন্য অন্য যেকোনো মাধ্যমের চেয়ে ট্রেন নিরাপদ বলে মনে হলো। আর যেহেতু আমাদের সুযোগ রয়েছে তাই আমরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মা ও নবজাতককে আমাদের গ্যাংকারে করে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছি।

তিনি আরো বলেন, সম্ভবত এটাই প্রথম কোনো ট্রেনের নামে সন্তানের নাম রাখা হলো। আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম, তার বাবা-মা এতে রাজি হয়েছে। বাড়িতে যাওয়ার সময় মুক্তি পারভীনের সঙ্গে ছিলেন স্বামী মনসুর আলী ও বড় মেয়ে মুসফি।

মুক্তি পারভীন-মনসুর আলী দম্পতির বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ভুমরাদহ হাজীপাড়া গ্রামে।মুক্তি পারভীন বলেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে ট্রেনে সন্তান ভূমিষ্ট হওয়া থেকে শুরু করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া পর্যন্ত সব ধরনের সহযোগিতা করেছে। আমরা সেজন্য সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।

এর আগে, রোববার দ্রুতযান ট্রেনে মেয়ে জন্ম দেন মুক্তি পারভীন। এ সময় তাকে ট্রেনের মধ্যে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সব ধরনের সহায়তা দিয়ে সন্তান প্রসবে সহায়তা করে। সেদিন ওই ট্রেনে নতুন অতিথির আগমনের জন্য আন্তঃনগর দ্রুতযান ট্রেন নির্ধারিত সময়ের ১৩ মিনিট পর দিনাজপুর স্টেশন ছেড়ে যায়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password