প্রেমিকার নির্দেশে তিন প্রেমিক মিলে খুন করেন আরেক প্রেমিককে

প্রেমিকার নির্দেশে তিন প্রেমিক মিলে খুন করেন আরেক প্রেমিককে
MostPlay

চতুর্ভুজ প্রেমের সম্পর্কের কথা ফাঁস করে দেওয়ায় প্রেমিকা আরিফার নির্দেশেই খুন করা হয় বড়াইগ্রামের ইকোরি গ্রামের কৃষক মোবারক হোসেনকে। পুলিশ ঘটনার মাত্র ২দিনের মাথায় এ হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপর তিন প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এসব তথ্য তুলে ধরেন। 

প্রেস ব্রিফিংয়ে লিটন কুমার সাহা জানান, গত ১৫ জুন বড়াইগ্রাম উপজেলার ইকোরি গ্রামের মৃত খয়ের উদ্দিনের ছেলে মোবারক হোসেন (৩৮) খুন হন। মোবারককে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।  এ বিষয়ে নিহতের স্ত্রী রানী বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ তদন্তে নামে। ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়ে সোনাবাজুর কাচু খার স্ত্রী আরিফা বেগমকে (৩০) গ্রেপ্তার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আরিফা এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অবগত বলে স্বীকার করেন এবং অপর তিনজন প্রেমিকের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা জানান। পরে পুলিশ ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন- সোনাবাজু গ্রামের ইমরুল প্রামাণিকের ছেল রশিদ প্রামাণিক (৩৮), একই গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে জিহাদ আলী (৩২) এবং ইকোরি গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে আসাদুল ইসলাম (৩৫)। 

পুলিশ সুপার জানান, এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড ছিলেন আরিফা। তিনি নিহত মোবারকসহ ৪ জনের সাথেই অবৈধ মেলামেশা করতেন ও তাদের কাছে থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিতেন। মোবারক ঠিকমত  আরিফাকে টাকা না দেওয়া এবং তিনিসহ অন্যদের সাথে আরিফার সম্পর্কের কথা ফাঁস করে দেন। এতে আরিফা ক্ষুদ্ধ হয় এবং অপর তিন প্রেমিককে নিয়ে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন মোবারক গরু চড়াতে গেলে আরিফা বেগম শারীরিক মেলামেশার প্রলোভন দিয়ে মোবারককে পাটক্ষেতে ডেকে নিয়ে যান। এরপর কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই অভিযুক্ত ব্যক্তিরা মোবারককে হত্যা করেন এবং এরপর স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে থাকেন। 

পুলিশ সুপার আরো জানান, হত্যার পরে আসামিরা মোবাইল ফোনে কোনরূপ যোগাযোগ করেননি। কিন্তু পারপার্শ্বিকতা বিবেচনায় পুলিশ বিচক্ষণতার সাথে আরিফাকে টার্গেট করে আটক করে। প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকরামুল ইসলাম, নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত, বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলিপ কুমার দাস, ডিবির ওসি আনারুল ইসলাম প্রমুখ।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password