এক দশকে দক্ষিণ এশীয় ৬৫০০ শ্রমিকের মৃত্যু কাতারে

এক দশকে দক্ষিণ এশীয় ৬৫০০ শ্রমিকের মৃত্যু কাতারে
MostPlay

গত এক দশকে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা থেকে কাতারে কাজ করতে যাওয়া ৬৫০০ জনেরও বেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে। অর্থাৎ প্রতি সপ্তাহে গড়ে দক্ষিণ এশিয়ার ১২ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয় দেশটিতে। বৃটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে। গণমাধ্যমটি গত এক দশক ধরে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের থেকে তথ্য সংগ্রহ করে।

এতে মোট ৫ হাজার ৯২৭ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। অপরদিকে কাতারে থাকা পাকিস্তান দূতাবাস জানিয়েছে গত এক দশকে ৮২৪ পাকিস্তানি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে কাতারে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে শ্রমিকের মৃত্যুর সংখ্যা অত্যন্ত বেশি। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে শুধু দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর হিসেবই দেয়া হয়েছে। তবে সেখানে ফিলিপাইন ও কেনিয়াসহ বিশ্বের আরো অনেক দরিদ্র দেশ থেকে মানুষ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যায়।আবার গত বছরের শেষ দিকে মৃত্যুর সংখ্যা হিসেব করা হয়নি।

গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ১০ বছর পূর্বে কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষিত হয়। এরপর থেকেই দেশটি বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। তৈরি হয় অসংখ্য ভবন। সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতেও স্থাপিত হয় নানা স্থাপনা। ফুটবলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত স্থাপনাও রয়েছে এরমধ্যে। তৈরি হয়েছে ৭টি ফুটবল স্টেডিয়াম। এছাড়া, নতুন বিমানবন্দর, রাস্তা, গণ-পরিবহণ, হোটেল ও নতুন একটি শহরও তৈরি করা হয়েছে।

সবই বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে। ফেয়ার স্কোয়ার প্রজেক্টের পরিচালক নিক ম্যাকগিহান বলেন, কাতারে শ্রমিকরা কোন সেক্টরে কাজ করছেন তা নির্দিষ্ট করে তালিকাভুক্ত করা হয়না। তবে ধারণা করা হচ্ছে, বিশ্বকাপ স¤পর্কিত অবকাঠামো প্রকল্পগুলোতে কাজ করতে গিয়েই এই বিশাল সংখ্যক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ২০১১ সালের পর কাতারে অভিবাসী শ্রমিক মৃত্যুর হার বেড়ে গেছে কারণ দেশটি বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password