কাঁদল শিশুটি, কাঁদাল সবাইকে

কাঁদল শিশুটি, কাঁদাল সবাইকে
MostPlay

চার বছর আগে একটি গরু কিনেছিলেন নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার বড়দল গ্রামের চিত্ত পালমা। এতদিন পরম যত্নে পালনের পর এবারের কোরবানির পশুর হাটে এনেছেন বিক্রির জন্য।বাবার সঙ্গে হাটে এসেছে আট বছরের শিশু চাঁদনি। গরুটির পালনে তার ভূমিকাও কম নয়। বাবার মতো সেও আদর-যত্ন করেছে পশুটির। তাই তো হাটে গরুটি বিক্রির সময় অঝোরে কেঁদে ওঠে চাঁদনি। তার কান্না ছুঁয়ে যায় হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদেরও।

বুধবার বিকেলে হৃদয়স্পর্শী ঘটনাটি ঘটে কলমাকান্দা উপজেলা সদরের পশুর হাটে। গরু বিক্রির সময় বাবার পাশেই ছিল চাঁদনি। কিছুতেই গরুটি বিক্রি করতে চাইছিল না সে। কিন্তু সংসারের প্রয়োজনে এক লাখ ৩০ হাজার টাকার গরুটিকে এক লাখ ৯ হাজারে বিক্রি করতে বাধ্য হন তার হতদরিদ্র বাবা।

বিক্রির সময় অশ্রুসজল চোখে গরুটিকে দেখছিল চাঁদনি। অবুধ পশুটিও দেখছিল তাকে। ক্রেতা গরু নিয়ে যাওয়ার সময় অঝোরে কাঁদতে শুরু করে শিশুটি। এ দৃশ্য দেখে কেঁদে ফেলেন হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারাও।

চাঁদনির বাবা চিত্ত পালমা জানান, চার বছর ধরে গরুটিকে যত্ন করেছে চাঁদনি। প্রতিদিন বাবার সঙ্গে গরুটিকে খাওয়াতো-গোসল করাতো সে। গরুটির সঙ্গে তার মমতার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। বুধবার সকালে গরুটি নিয়ে হাটে যাওয়ার সময় চাঁদনিও বাবার পিছু পিছু ছুটে আসে। কিছুতেই গরুটি বিক্রি করতে দেবে না সে। গরুটি বিক্রির পর অঝোরে কেঁদেছে শিশুটি।

গরুটি কিনেছেন একই উপজেলার রানীগাঁওয়ের নয়ন মিয়া। তিনি বলেন, গরুটি নিয়ে আসার সময় শিশুটি অনেক কান্নাকাটি করেছে। তাকে কাঁদতে দেখে আমিসহ অনেকেই কেঁদেছি। তাকে অনেক বুঝিয়ে গরুটি নিয়ে এসেছি। ছোট্ট মেয়েটির মনে গরুটির জন্য যে ভালোবাসা তা সত্যিই বিরল।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password