বেশি প্রাধান্য দিতে হয় স্বামীর ইচ্ছাটাই

বেশি প্রাধান্য দিতে হয় স্বামীর ইচ্ছাটাই
MostPlay

কখনও কখনও সম্পর্কটা খাপছাড়া লাগে আপনার? স্বামীকে মনে হয় আত্মকেন্দ্রিক? নিজের স্বাধীন মতামত থাকা সত্ত্বেও শেষ মুহূর্তে স্বামীর ইচ্ছাটাই প্রাধান্য দিতে হয়? তেমনটা হলে আপনি কিন্তু ভুল করছেন।

সারাক্ষণ নিজেকে নিয়েই চিন্তা করেন তেমন পুরুষের সঙ্গে একটা গোটা জীবন কাটানো সত্যিই কঠিন। আর দিনের পর দিন এই পরিস্থিতিটা আপনি যদি মেনে নেন, তার অর্থ নিজের মনের মধ্যে অসন্তোষ আর অশান্তি বাড়িয়ে তোলা যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে আপনার মানসিক স্বাস্থ্য ও সামগ্রিক ভালো থাকার উপরেও।

কীভাবে বুঝবেন আপনার স্বামী আত্মসুখী, আত্মকেন্দ্রিক কিনা? কিছু প্রাথমিক লক্ষণের কথা বলছি আমরা। যদি মনে হয়, আপনার স্বামীর আচরণেও এই লক্ষণগুলো প্রকট, সে ক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গে খোলামেলা কথা বলার সময় হয়েছে।

আপনার কাজ বা বক্তব্য নিয়ে ওঁর কোনও আগ্রহ নেই
দু’জনেই অফিস থেকে ফিরেছেন, অথচ খাওয়ার টেবিলে বসে উনি শুধু নিজের কথাই বলে যান। আপনার সারাটা দিন কেমন কাটল তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন করেন না, আপনি নিজে থেকে বলতে চাইলেও প্রসঙ্গ পালটে দিয়ে ফের নিজের কথাই বলতে শুরু করেন। আত্মকেন্দ্রিক পুরুষেরা সাধারণত যে কোনও কথোপকথনে নিজেদের অস্তিত্বটাই জাহির করতে চান। এটা ওঁদের মনোযোগ আকর্ষণের একটা উপায়। বারবার এমন হলে সরাসরি আপনার সমস্যার কথাটা মুখের উপর বলুন। পরবর্তীতে তা হলে উনি আর একটু সতর্ক হবেন।

আপনাদের সমস্ত প্ল্যানের মূলেই থাকেন আপনার স্বামী
বেড়াতে যাওয়ার জায়গা বাছাই, রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়া থেকে শুরু করে সংসারের ছোটখাটো সিদ্ধান্ত, সবই আপনার স্বামীই নিয়ে থাকেন। উনি যেখানে যেতে চান, সেখানেই যাওয়া হয়। এরকম বারবার হলে সহ্য করার কোনও কারণ নেই। নিজের মতামত স্পষ্টভাবে জানান।

আপনার সাফল্যে উনি খুশি নন
আত্মকেন্দ্রিক পুরুষ আপনার সাফল্য একটা স্তর পর্যন্ত সহ্য করবেন। তারপর ওঁর ঈর্ষার দিকটাই প্রকট হয়ে উঠবে। আপনি যতই চাকরিতে একের পর এক সিঁড়ি অতিক্রম করবেন, ততই উনি আপনাকে নানারকম অজুহাত দিয়ে চাকরিটা ছেড়ে দিতে বলবেন। কখনও আপনার শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হবেন, কখনও বলবেন আপনার ব্যস্ততার প্রভাব সম্পর্ক আর সংসারের উপরে পড়ছে। আপনার যেদিন জরুরি মিটিং বা বড়ো অ্যাসাইনমেন্ট আছে, তার আগেই প্রবল ঝগড়া শুরু করবেন। এ সবই আসলে ওঁর আপনার উপর মানসিক চাপ বাড়ানোর কৌশল।

আপনার অনুভূতি নিয়ে ওঁর আগ্রহ নেই
আত্মকেন্দ্রিক পুরুষেরা যেহেতু নিজেদের নিয়েই মগ্ন থাকেন, আশপাশের মানুষের ভালো লাগা মন্দ লাগা নিয়ে ভাবার অবসর তাঁদের থাকে না। আপনি কোনও কারণে মনমরা হয়ে থাকলে আপনার স্বামী কখনওই আপনাকে কারণ জিজ্ঞেস করবেন না। বা জিজ্ঞেস করলেও আপনার পুরো কথা শোনার ধৈর্য ওঁর থাকবে না।

উনি আপনার শারীরিক চাহিদার প্রতি অনাগ্রহী
দাম্পত্য সম্পর্কের একটা বড়ো অংশ জুড়ে রয়েছে শারীরিক সম্পর্ক। কিন্তু আপনি শারীরিকভাবে তৃপ্ত কিনা, এ নিয়ে আপনার স্বামী মোটেই ভাবিত নন। নিজের চাহিদা পরিতৃপ্ত হলেই উনি খুশি। দিনের পর দিন এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে তার প্রভাব আপনাদের সম্পর্কে পড়তে বাধ্য। এরকম ক্ষেত্রে স্বামীর সঙ্গে কথা বলুন, প্রয়োজনে কাউন্সেলিংয়ের সাহায্যও নিতে পারেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password