ইসরায়েলি বাহিনী জাবালিয়া-রাফাতে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে

ইসরায়েলি বাহিনী জাবালিয়া-রাফাতে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে

ইসরায়েলি বাহিনী মঙ্গলবার উত্তর গাজার জাবালিয়ায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি ট্যাংক ও বিমান থেকে এই বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় হাসপাতাল ও আবাসিক এলাকা ধ্বংস হয়ে যায়। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বিমান হামলায় দক্ষিণ রাফাহতে অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছেন। চলতি মাসে গাজা স্ট্রিপের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে একযোগে ইসরায়েলি হামলার ফলে কয়েক লাখ লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।

এ ছাড়া দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে এবং ত্রাণ সরবরাহ ব্যাপকভাবে সীমিত হয়ে এসেছে। ৭৫ বছর আগে জাবালিয়ায় বাস্তুচ্যুত বেসামরিক লোকদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল শরণার্থী শিবির। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বুলডোজার ব্যবহার করে স্থানীয় বাজারের কাছে দোকান এবং অনেক সম্পত্তি ধ্বংস করে দিয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে এই সামরিক অভিযান শুরু হয়েছিল।

তবে ইসরায়েল বলছে, তারা সেখানে কয়েক মাস আগে হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিল। এখন তারা শিবিরে ফিরে এসেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজা উপত্যকাজুড়ে প্রায় ৭০টি ‘সন্ত্রাসী আস্তানা’ ধ্বংস করেছে। যার মধ্যে রয়েছে সামরিক কম্পাউন্ড, অস্ত্র স্টোরেজ সাইট, মিসাইল লঞ্চার এবং পর্যবেক্ষণ পোস্ট।

এদিকে ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা বলেছেন, ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র জাবালিয়ার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আঘাত করেছিল। এতে হাসপাতালের কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে রোগীদের স্ট্রেচারে করে বাইরে ধ্বংসস্তূপে ভরা রাস্তায় বের করে নিয়ে যান। হাসপাতালটির প্রধান হুসাম আবু সাফিয়া বলেন, ‘প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হানে জরুরি বিভাগের প্রবেশদ্বারে। এরপর দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে এবং তৃতীয়টি পাশের ভবনে আঘাত হানে।

’ তিনি বলেন, ‘আমরা জরুরি বিভাগের ভিতরে আর ফিরে যেতে পারিনি... জরুরি বিভাগ শিশু, বয়স্ক লোকদের পরিষেবা প্রদান করে।’ বাসিন্দারা এবং চিকিৎসকরা বলেছেন, ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো তৃতীয় দিনের মতো জাবালিয়া হাসপাতাল, আল-আওদা হাসপাতাল অবরোধ করে রেখেছে। ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বলেছেন, উত্তর গাজার অসুস্থ ও আহতদের বিকল্প কোনো রাস্তা নেই। টেড্রোস বলেন, ‘উত্তর গাজায় মাত্র দুটি হাসপাতাল কাজ করছে। স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে তাদের সক্ষমতা নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গাজার যুদ্ধে ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া অন্তত ১০ হাজার নিখোঁজ এবং অনেকে ধ্বংস হওয়া ভবনের নিচে আটকা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি হামলায় জনাকীর্ণ উপকূলীয় ছিটমহলটিকে ধ্বংস করে ফেলেছে। বাড়িঘর, স্কুল ও হাসপাতাল ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি করেছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password