হাসপাতালে কর্মীরা চিকিৎসা নিতে যাওয়া এক রোগীকে মারধর করেছে

হাসপাতালে কর্মীরা চিকিৎসা নিতে যাওয়া এক রোগীকে মারধর করেছে

গাজীপুরের শ্রীপুরে বেসরকারি এক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীকে নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে। স্বজনদের সামনে ওই রোগীকে হাসপাতালের ছয়কর্মী মারধর করে। মারধর থেকে রক্ষা পায়নি রোগীর সঙ্গে থাকা স্ত্রী ও আট বছরবয়সী শিশুছেলেও। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার মাওনা চৌরাস্তায় পদ্মা হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক হাসপাতাল অ্যান্ড ট্রমা সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার রোগীর নাম আবদুল কুদ্দুস তালুকদার (৩৮)। তিনি ঝালকাঠি সদর উপজেলার রমানাথপুর গ্রামের আবদুল লতিফ তালুকদারের ছেলে। কুদ্দুস তালুকদার গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর এলাকায় মীর সিরামিক কারখানায় টেকনিশিয়ান পদে চাকরি করেন।

কুদ্দুস তালুকদার জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার কারখানায় কাজ করতে গিয়ে বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচে লোহার টুকরো ঢুকে পড়ে। রাতেই ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হলেও লোহার টুকরো বের করতে ব্যর্থ হন সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক। তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক (অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জন) ডা. মোফাখ্খারুল ইসলাম (রানা) মাওনা চৌরাস্তায় ওই হাসপাতালে শুক্রবার চেম্বার করেন। তা জেনে ওই চিকিৎসককে দেখাতে গিয়েছিলেন তিনি।

কুদ্দুস তালুকদার আরো জানান, ৭০০ টাকা ভিজিট দিয়ে চিকিৎসকের চেম্বারে ঢুকলে চিকিৎসক তাঁকে দ্রæত ঢাকায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। বের হয়ে তিনি ভিজিটের টাকা ফেরত চান। এতে হাসপাতালের কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তুহিন নামে এককর্মীর নেতৃত্বে ছয়জন তাকে নির্মমভাবে মারধর করে।

কুদ্দুস তালুকদারের স্ত্রী রুবি আক্তার অভিযোগ করেন, ‘হাসপাতালে ঢুকলেই টাকা লাগে’ বলেই তাঁর স্বামীকে মারধর শুরু করে তারা। কিল-ঘুষি মেরে ফেলে দিয়ে বুকে-পিঠে উপর্যুপরি লাথি মারে। ওই সময় হাসপাতালের কর্মীরা তাঁর আট বছরবয়সী শিশু ছেলে রাহাতসহ তাঁকেও মারধর করেছে।’

খবর পেয়ে পুলিশ ওই হাসপাতাল থেকে আহত অবস্থায় কুদ্দুস তালুকদারসহ তার স্বজনদের উদ্ধার করেছে। অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে ওই হাসপাতালের পরিচালক কামরুল হাসান সেলিমকে অনেকবার ফোন দেওয়া হলেও ফোন ধরেননি তিনি।

শ্রীপুর থানার এস আই আমজাদ শেখ সাংবাদিক কে বলেন, ‘ঘটনা জেনে ওই হাসপাতালে গিয়েছিলাম। হাসপাতালে কয়েকজন কর্মী চিকিৎসা নিতে যাওয়া এক রোগীকে মারধর করেছে। এ ঘটনায় মারধরের শিকার রোগী বা তাঁর স্বজনদের কেউ থানায় অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password