এমপি পরিচয়ে প্রতারণা; গ্রেফতার ২

এমপি পরিচয়ে প্রতারণা; গ্রেফতার ২

এমপি পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অফিসে তদবির করেন, করেন চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা।

এমপি পরিচয়দানকারী এই প্রতারক মোঃ জহির উদ্দিন বাবুলকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ। একই সময়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার  দীর্ঘদিনের সহযোগী প্রতারক গুলশান আরা খানম (৪৪) কে।

ময়মনসিংহ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোহাঃ আহমার  উজ্জামান, পিপিএম-সেবা এর নির্দেশে আজ ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে ঢাকার ফকিরাপুল থেকে মোঃ জহির উদ্দিন বাবুলকে এবং ময়মনসিংহ থেকে  গুলশান আরা খানমকে গ্রেফতার করে।

গুলশান আরা খানমের কাজ ছিল চাকুরী দেয়ার নামে প্রতারণা করা। তার টার্গেট গ্রুপ ছিল গ্রামের সহজ সরল মহিলারা। তাদেরকে লক্ষ্য করে ফাঁদে ফেলে আত্নীয়স্বজন ও ছেলে মেয়েদের চাকুরী দেয়ার কথা বলে হাতিয়ে নিত লক্ষ লক্ষ টাকা।চাকুরী প্রার্থী ভিকটিমদের কাছ থেকে তারা ব্যাংকের খালি চেক নিত এবং পরবর্তীতে সেই চেকে ইচ্ছামত টাকার অংক বসিয়ে দিয়ে হয়রানি এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করত। গ্রেফতারকালে গুলশান আরা খানম এর কাছ থেকে ৮ টি চেক উদ্ধার করা হয়।

এই প্রতারণা কাজের মূল ছিল জহির উদ্দিন বাবুল। জহির উদ্দিন বাবুল এর বাড়ী কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে। সে নিজেকে সব জায়গায় ফোনের মাধ্যমে এমপি বলে পরিচয় দিত এবং বিভিন্ন অফিসে তদবীর করত। ৩ বছর ধরে জহির উদ্দিন ফকিরাপুলের হোটেল সেন্টারে অবস্থান করে এভাবে প্রতারণা করে আসছিল। 

গুলশান আরা খানম ও জহির উদ্দিন বাবুলের প্রতারণার শিকারদের একজন জনাব নজরুল ইসলাম জানান তার ভাতিজা ও ভাতিজেকে একটি বাহিনীতে সিভিলে চাকুরী দেয়ার কথা বলে গত জানুয়ারি মাসে ১৭ লক্ষ টাকার চুক্তি করে। নগদ ৬ লক্ষ টাকা এবং বাকী টাকার ৫ টি খালি চেক নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে চাকুরী না দিয়ে উল্টো খালি চেকে ২০ লক্ষ টাকা বসিয়ে ভিকটিমদের নিকট উকিল নোটিশ পাঠায়। এই বিষয়ে ভিকটিমেরা পুলিশে অভিযোগ করলে সেটির তদন্ত করতে গিয়ে এই প্রতারককে আটক করা হয়। 

এ ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের প্রতারক থেকে সাবধান থাকুন। প্রতারণার যে কোনো ঘটনায় পুলিশকে অবহিত করুন। আপনার সমাজকে অপরাধমুক্ত রাখতে সহায়তা করুন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password