গাজীপুরে হত্যার পর স্ত্রীকে ফ্যানে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ

গাজীপুরে হত্যার পর স্ত্রীকে ফ্যানে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ

গাজীপুরে স্ত্রীকে হত্যার পর তার লাশ পাশের কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। শনিবার (১৩ মার্চ) রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

রোববার (১৪ মার্চ) পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত ওই গৃহবধুর নাম খালেদা আক্তার শিলা (৪০)। তিনি সাতখামাইর গ্রামের মৃত শাহাবুদ্দিন আকন্দের মেয়ে। তার মাইমুমা মম (১০) ও সাদিয়া কাজল শ্রাবন্তী (২০) নামের দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে।অভিযুক্ত স্বামীর নাম মনোয়ার হোসেন মজনু (৪৫)। তিনি উপজেলার ডালেশ্বর গ্রামের নুরু ফকিরের ছেলে। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, মজনু-শীলা দম্পতির দ্বিতীয় সংসার ছিল এটি। আগের সংসারে শীলার স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হলে সে সংসারের কন্যা শ্রাবন্তীকে নিয়ে সাতখামাইর এলাকায় বাবার দেয়া জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে আসছিলেন। এক যোগ আগে মজনু-শীলার দ্বিতীয় সংসার শুরু হয়। এই দম্পতির সংসারে শিশু মম ছিল একমাত্র সন্তান। প্রায় সময়ই কারণে-অকারণে নানা অজুহাতে শীলাকে মারধর করতেন মজনু। গত শনিবার সন্ধ্যার পর শীলা তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তার মেয়ে মমকে মারধর করেন। এ ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে মজনু তার স্ত্রীকে মারধর, কিল, লাথি ও বুকের ওপর দাঁড়িয়ে লাফ দেন। এতে শীলা গুরুতর আহত হন।

নিহতের শিশুকন্যা মম জানায়, মাকে মারধর করেই ক্ষান্ত হয়নি তার বাবা। মারধরের একপর্যায়ে বুকের ওপর উঠে লাফ দেন। এসময় তার মা নিস্তেজ হয়ে যান। সে তখন মনে করে মা ঘুমিয়ে পড়েছেন। পরে মা-বাবার মারামারি ঘটনাটি জানাতে পাশে নানির বাড়িতে যায়। পরে এসে দেখে মায়ের দেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে।

নিহতের অপর মেয়ে শ্রাবন্তী বলেন, পাশের বাড়ি থেকে নানি এসে মাকে গলায় ওড়না দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে বাঁধা ও হাঁটু ঘরের মেঝেতেই লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। সেখান থেকে দ্রুত অন্যদের সহযোগিতায় তার মাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা শিলাকে মৃত ঘোষণা করেন। তাদের ধারণা, বাবা তার মাকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে ফ্যানে ঝুলিয়ে দেন।

এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম সারোয়ার বলেন, এ বিষয়ে নিহতের মেয়ে বাদী হয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। এ-সংক্রান্ত মামলা প্রক্রিয়াধীন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password