হিজাব না পরায় মাথায় ছুড়ে মারলো দই

হিজাব না পরায় মাথায় ছুড়ে মারলো দই

নজিরবিহীন আন্দোলন-সহিংসতার রেশ না কাটতেই, আবারও হিজাব ইস্যুতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ইরানে। মাথা ঢেকে না রাখার অভিযোগে লাঞ্ছনার শিকার হন দুই নারী। তাদের ওপর এক ব্যক্তির চড়াও হওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

পোশাক বিধি লঙ্ঘনের দায়ে পরবর্তীতে আটক করা হয় ওই দুই নারীকে। শৃংখলা ভঙ্গের কারণে গ্রেফতার করা হয় হামলাকারীকেও। মেয়েদের হিজাব পরা নিয়ে আরো একবার হুঁশিয়ারি দিল ইরান। এবার অবশ্য ইরানের ধর্মীয় শাসকদের কেউ নয়, হিজাব পরা নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির বিচার বিভাগের প্রধান গোলাম-হোসেন মোহসেনি ইজেই।

তিনি জানিয়েছেন, ইরানে যারা হিজাব পরবেন না, তাদের কোনোভাবেই ক্ষমা করা হবে না। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। দেশের সব মেয়েকে হিজাব পরার আবেদন জানিয়ে মোহসেনি বলেছেন, ‘নির্দিষ্ট পোশাক পরে সকলের চলা উচিত। এটা আমাদের মূল্যবোধের সঙ্গে জড়িত।

এই নির্দেশ যারা মানবেন না, তাদের কঠোর সাজা পেতে হবে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’ তবে নিয়মভঙ্গ করলে কী শাস্তি পেতে হবে, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। কিছুদিন আগেই ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, হিজাব ইরানের মৌলিক মূল্যবোধের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ইরানের মতো ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের ক্ষেত্রে এই পোশাকবিধি যে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত, তা-ও স্পষ্ট করে দেন তিনি। এদিকে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকেই হিজাববিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে ইরান।

হিজাব না পরার দায়ে ২২ বছরের তরুণী মাহসা আমিনিকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় ইরানের নৈতিকতা পুলিশ। পুলিশ হেফাজতেই মৃত্যু হয় তার। আমিনির পরিবারের দাবি, পুলিশের হাতেই মৃত্যু হয়েছে তার। তার মৃত্যুর পরই ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে ইরানজুড়ে।

মাথার চুল কেটে, হিজাব খুলে, হিজাব পুড়িয়ে ইরানের ধর্মীয় খামেনি প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান সে দেশের সব স্তরের মানুষ। পোশাকবিধি সংক্রান্ত আইন পরিবর্তনের দাবিতে সেই বিক্ষোভ এখনো চলছে। সেই আবহে হিজাব নিয়ে আরো একবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল ইরান।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password