ধনী হওয়ার লোভে দুইজনকে নরবলি! কেঁপে উঠলো ভারত

ধনী হওয়ার লোভে দুইজনকে নরবলি! কেঁপে উঠলো ভারত

আধুনিক এ যুগে ভারতে ঘটলো প্রাচীন যুগের নারকীয় ঘটনা। কেরালা রাজ্যে কুসংস্কার বিশ্বাস করে ধনী হওয়ার লোভে নরবলি দিয়েছে এক দম্পতি। দুই নারীকে হত্যার পর টুকরো টুকরো করে মাটিতে পুঁতে ফেলে তারা। তাদের এই নৃশংস কাজের সঙ্গী ছিলেন আরও এক ব্যক্তি। পৈশাচিক এ ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা ভারত। এরইমধ্যে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। প্রাচীন আর কুসংস্কারাচ্ছন্ন যুগে নরবলি চর্চার ইতিহাস শোনা গেলেও বর্তমান আধুনিক সভ্যতায় মানুষ হত্যার বিভৎস সে রীতি আর নেই।

তবে, বর্তমান এ সময়েও অন্ধবিশ্বাসের কারণে ভারতে ঘটেছে নরবলির ঘটনা, যা আলোড়ন তুলেছে গোটা দেশজুড়ে। ‘মানুষকে বলি দিলেই আসবে আর্থিক স্বচ্ছলতা’ এক দম্পতির এমন বিশ্বাসের কারণে ভারতের কেরালা রাজ্যে প্রাণ গেলো রোজলি ও পদ্মা নামের দুই নারীর। ভগবাল সিং ও তার স্ত্রী লাইলার এ কাজে সঙ্গী ছিলেন সাফি নামের আরেক ব্যক্তি।

পুলিশ বলছে, ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী এই সাফি। ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে ওই দম্পতিকে নরবলির জন্য রাজি করান তিনি। বোঝান, আর্থিক স্বচ্ছলতা পেতে করতে হবে এ কাজ। বলির জন্য ওই দুই নারীকেও জোগাড় করে দেন সাফি। প্রথমে একজনকে হত্যার পর আর্থিক সচ্ছলতা না আসায় বলি দেয়া হয় অপর নারীকে। হত্যার পর দুজনের মরদেহই ৫৬ টুকরো করে কেটে বাড়ির পেছনে পুতে রাখে ওই দম্পতি।

কোচির পুলিশ কমিশনার সিএইচ নাগারাজু বলেন, ইরনাকুলামের বাসিন্দা সাফি, ভুক্তভোগী রোজলিকে আর্থিক সাহায্যের প্রলোভন দেখিয়ে পাথানম-থিত্তায় নিয়ে আসে। পরে তারা তিনজন মিলে নানা আচার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তাকে হত্যা করে। রোজলির মতো একইভাবে একই পরিবারের কাছে পদ্মাকে নিয়ে আসা হয়। জানা গেছে, গত জুন মাসে নিখোঁজ হন রোজলি আর সেপ্টেম্বরে নিখোঁজ হন পদ্মা।

পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের খোঁজে অভিযানে নেমে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা নজরে আসে পুলিশের। এরইমধ্যে নিহতদের দেহের বেশকিছু টুকরো উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর জেল হেফাজতে নেয়া হয়েছে অভিযুক্তদের। পুলিশ কমিশনার সিএইচ নাগারাজু আরও বলেন, অভিযুক্ত তিনজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

তাদের আমরা ১৪ দিনের জেল হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। প্রসঙ্গত, স্বাক্ষরতার হার সবচেয়ে বেশি ভারতের যে রাজ্যে, সেখানেই এমন নারকীয় ঘটনায় হতবাক গোটা দেশ। আধুনিক এ যুগে এমন কাণ্ডে উদ্বেগ জানিয়েছে কেরালার হাইকোর্টও।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password