‘লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক। লাব্বাইক, লা শারিকা লাকা লাব্বাইক। ইন্নাল হামদা, ওয়াননি’মাতা, লাকা ওয়ালমুলক, লা শারিকা লাক...।’ আজ পবিত্র আরাফাতের
পাহাড়ঘেরা ময়দান ছাপিয়ে আকাশ-বাতাস মুখর ও প্রকম্পিত হবে এই মধুর
ধ্বনি-প্রতিধ্বনিতে। করোনা মহামারির মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো সীমিত পরিসরে আজ
অনুষ্ঠিত হচ্ছে পবিত্র হজ। গত বছরও মতো এবারও পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক
পরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই হজ পালন করতে হচ্ছে হাজিদের।
আরব নিউজ ও আল আরাবিয়ার খবরে জানা যায়,
করোনা
ভাইরাস সংক্রমণের কারণে এ বছরও সৌদি আরবের বাইরে থেকে কোনো হজযাত্রীকে অংশ নিতে
দেওয়া হচ্ছে না। সৌদি আরবে বাস করা দেশটির নাগরিক ও বিদেশি বাসিন্দাদের মধ্য থেকে
৬০ হাজার ব্যক্তি হজ করার অনুমতি পেয়েছেন। শুধু ১৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সি সৌদি নাগরিক
এবং দেশটিতে বাস করা ১৫০ দেশের নাগরিক হজ করার সুযোগ পেয়েছেন। সবাই দুই ডোজ
ভ্যাকসিন নিয়েছেন।
পাপমুক্তি আর আত্মশুদ্ধির বাসনায় ইসলামের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ এই পবিত্র হজ পালন
করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। আজ সোমবার ফজরের সালাতের পরেই মিনা থেকে হাজিগণ দলে দলে
উপস্থিত হবেন আরাফার ময়দানে। আরাফাত ময়দানের মসজিদে নামিরায় যোহরের নামাজের আগে
খুতবা পাঠ করবেন মসজিদুল হারামের খতিব শায়খ ড. বান্দার বিন আবদুল আজিজ বালিলা।
হজের পুরো সময় নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব রক্ষা ও ফেসমাস্ক পরার নিয়ম মেনে চলতে হবে
হাজিদের। তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মসজিদে নামিরায় প্রবেশ ও বের হওয়ার
জন্য পৃথক রাস্তা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার ঈদুল আজহার দিন মিনায়
হাজির হয়ে তিনটি জামারায় শয়তানকে প্রতীকী পাথর নিক্ষেপকালে ভিড় এড়াতে নির্ধারিত
দূরত্বে জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে দাঁড়িয়ে
হাজিরা পাথর নিক্ষেপ করবেন।
গত বছর থেকে আরাফার দিনের খুতবা সরাসরি বাংলাসহ ১০টি ভাষায় অনুবাদ করা হয়। এ
বছর হজের খুতবার বাংলা অনুবাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার
মাওলানা আ ফ ম ওয়াহীদুর রহমান। বর্তমানে তিনি মক্কা ইসলামি সেন্টারে দাঈ হিসেবে
কাজ করছেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন