নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।
বৃহস্পতিবার বেলা আনুমানিক ১১টায় উপজেলার নজিপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুদর্শন চন্দ্র সাহার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নয় বছর আগে চখনিরখীন গ্রামের ভানু ভূষণ সাহার (কবিরাজ) মেয়ে লিখু রাণীর সঙ্গে উপজেলার নজিপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর সুদর্শন সাহার ছেলে সুমন সাহা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ঘরে পাঁচ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
ঘটনার দিন তার শাশুড়ি ও স্বামী সুমন সাহা ঘরের ভেতর থেকে ছিটকিনি আটকানো দেখে ডাকাডাকি করতে থাকেন। কোন সাড়াশব্দ না পেলে দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করেন। এসময় লিখু রাণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে দ্রুত পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুমন সাহার প্রতিবেশি রণজীত শ্রী মানিক বলেন, আমরা হঠাৎ কাউন্সিলার সুদর্শন সাহার বাসা থেকে চিৎকার চেচামেচির আওয়াজ পায়। তখন আমি দৌড়ে গিয়ে দেখতে পাই সুমন সাহার বউ সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে ছিল। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার সময় তার নি:শ্বাস ছিলো। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে চিকিৎসকরা বলে সে মারা গেছে।
লিখু রাণীর বাবা ভানু ভূষণ সাহা জানান, কয়েকবার লিখু রাণীর স্বামী সুমন সাহা ও তার শাশুড়ির সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে গন্ডগোল হয়েছিলো। আমরা তিনবার বিষয়টি মিমাংসা করে আমার মেয়েকে তাদের কাছে পাঠিয়ে দেই। আজ আমার মেয়ে আমার বাসায় বেড়াতে আসার কথা কিন্তু আমার বিয়াই আমার মেয়ের বাচ্চাকে একাই রেখে যায়। রেখে যাওয়ার আধা ঘন্টা পর শুনতে পাই আমার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
পত্নীতলা থানার অফিসার ইনর্চাজ শামসুল আলম শাহ্ বলেন, এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ সৎকারের জন্য তার স্বামীর বাড়ির নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন