বেনাপোলে অবৈধ চলাচল ঠেকাতে কাস্টমসে ফিঙ্গার প্রিন্ট বসালো

বেনাপোলে অবৈধ চলাচল ঠেকাতে কাস্টমসে ফিঙ্গার প্রিন্ট বসালো
MostPlay

যশেরের বেনাপোলে অবৈধ চলাচল ঠেকাতে কাস্টমসে বসালো ফিঙ্গার প্রিন্ট অবৈধ চলাচল রুখতে বেনাপোলের কাস্টমস হাউসে প্রবেশ মূখে ফিঙ্গার প্রিন্ট পদ্ধতি চালু করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। রোববার (১১ জুলাই ২০২১) সকাল থেকে ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যবহার করে সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীদের কাস্টমস হাউসে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। দেখা গেছে, বেনাপোল কাস্টমস গেটের প্রবেশ মূখে রাখা হয়েছে দুটি ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন।

একটি সিঅ্যান্ডএফ মালিকদের জন্য, এবং অন্যটি কর্মচারীদের জন্য রাখা হয়েছে। যা স্পর্শ করে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে। যাদের ফিঙ্গার প্রিন্ট কাস্টমসে এন্ট্রি করা আছে শুধু তারাই প্রবেশ করতে পারবে কাস্টমস অফিসে। বেনাপোল কাস্টমসে মোট ব্যবহারকারী সিঅ্যান্ডএফের আঁটশত মালিক এবং চার হাজার কর্মচারীদের মধ্যে শুধু এক হাজার পাঁচশত ৩০ জন এন্ট্রি করতে পেরেছে ইতিমধ্যে। চলমান কঠোর বিধিনিষেধের ফলে বেনাপোলের বাইরের কেউ আসতে পারেনি। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে বাকিরা এসে ফিঙ্গার প্রিন্ট করে নিতে পারবে বলে জানা গেছে।

এদিকে অনেকে বলেছে, বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে ফিঙ্গার মেশিনের সংস্পর্শে করোনা পজিটিভ হওয়ার আশঙ্কা আছে। এক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার বলে জানা গেছে। সেই ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন কতৃপক্ষ। যশোরের বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, বেনাপোল কাস্টমস হাউসে ফিঙ্গার প্রিন্ট দেওয়াতে ব্যবসায়ীরা খুশি হয়েছে।

এতে করে যেমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হয়েছে, তেমনি অবৈধ কার্ডধারীদের প্রবেশের কোনো সুযোগ থাকছে না বলে জানা গেছে। বেনাপোল কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম জানিয়েছেন, যাদের ফিঙ্গার এন্ট্রি নেই তারা প্রবেশ করতে পারবে না কাস্টমসসে।

তবে যদি কেউ জরুরিভাবে ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। করোনা সংক্রমণ কমাতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে কাস্টমসে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এইদিকে দেশে করোনার পরিস্থিতি মহামারী আকারে দেখা দিয়েছে অনেক জেলাতে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password