নওগাঁর মান্দায় বিপুল পরিমাণে দেশীয় মদসহ নারীসহ দুজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
সোমবার (১৯ জুলাই) সকাল ৯ টার দিকে মান্দা উপজেলার ১নং ভারশোঁ ইউনিয়নের ভারশোঁ গ্রামের ঋষিপাড়া থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলো- ঋষিপাড়ার পরম চন্দ্রের ছেলে দুলু (২৭) ও বিনয় চন্দ্রের স্ত্রী রুপতি (২৪)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভারশোঁ গ্রামের ঋষিপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে দেশীয় মদ তৈরি করে খাওয়ার পাশাপাশি তারা ব্যবসা করে আসছিল। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একাধিকবার তাদের মদ তৈরি ও ব্যবসা না করার জন্য সর্তক করা হয়।
কিন্তু তারপরও তারা গোপনে মদ তৈরি ও বিক্রি করে আসছিল। এতে যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঋষিপাড়ার কয়েকজন গোপনে মদ তৈরি করে ব্যবসা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় সমাজসেবী আব্দুস সোবহানের নেতৃত্বে গ্রামপুলিশ ইয়াছিন আলী, লোকমান আলী, আব্দুস সালাম, সচেতন ব্যক্তি, আব্দুর রাজ্জাক, হোসেন আলী, আশরাফুল ইসলাম, একরামুল হক, মাহাবুর ও ফজলুর রহমান বাবুলসহ ১২-১৫ জন ঋষিপাড়ায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানের সময় মাটির নিচ থেকে ১০ জারিকেন (প্রায় ২ মণেরও বেশি) দেশীয় মদ উদ্ধারসহ দুলু ও রুপতিকে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। অভিযানের সময় মাদকসম্রাজ্ঞী ডলিসহ কয়েকজন পালিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন বলেন, ঋষিপাড়ার বাসিন্দাদের মাদক ছাড়তে একাধিকবার সচেতন ও সর্তক করা হয়েছে। তারা মাদক ছাড়তে কিছু শর্ত দিয়েছিল। শর্ত অনুযায়ী সরকারের সুযোগ সুবিধা ১০ টাকা কেজির চালের কার্ড, বয়স্ক ও বিধবা ভাতা, সাপলাই পানির ব্যবস্থা ও মন্দির নির্মান করে দেয়া হয়। কিন্তু তারপরও তারা গোপনে মদ তৈরি ও বিক্রি করে আসছিল।
যুবসমাজকে রক্ষা করতে থানা থেকে ওই পাড়ায় নিয়মিত অভিযান করা দরকার বলে মনে করেন তিনি। মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, একাবাসী দুজনকে আটক করে পুলিশের নিকট সোপর্দ করে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন