অবশেষে উইন্ডোজ ১১: যা যা থাকছে নতুন এই সংস্করনে

অবশেষে উইন্ডোজ ১১: যা যা থাকছে নতুন এই সংস্করনে
MostPlay

২০১৫ সালে মাইক্রোসফটের বিবৃতি ছিল যে, উইন্ডোজ ১০ এরপর আর উইন্ডোজের কোন নতুন সংস্করণ আসবে না। যা আসবে তা হচ্ছে উইন্ডোজ ১০ এর নতুন নতুন আপডেট। কিন্তু ৬ বছর পর এই অবস্থান থেকে সরে এসে, অবশেষে মাইক্রোসফট আনল জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ  এর সম্পূর্ণ নতুন সংস্করণ ‘উইন্ডোজ ১১’। 

মূলত উইন্ডোজ ১১ তে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এর লোগোতেও পরিবর্তন এনেছে। উইন্ডোজ ১১ এর নতুন লোগো হচ্ছে মাইক্রোসফট এর লোগোরই আরেক রূপ!  সর্বত্রই দেখা মিলবে রাউন্ডেড কর্নারের। 

উইন্ডোজ ১১ কে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১০ এর থেকে অনেকটা পরিমার্জিত করে সম্পূর্ণ নতুন করে ঢেলে সাজিয়েছে। উইন্ডোজ ১১ এর মূল পরিবর্ধন হচ্ছে, অপারেটিং সিস্টেমটির স্টাইলিশ এবং স্লিক ইউজার ইন্টারফেস।   


 উইন্ডোজ ১১ এর সেটিংস প্যানেলে ব্যবহারকারিরা লক্ষ্য করতে পারবেন সবচেয়ে প্রথম পরিবর্তন। উইন্ডোজ ১১ সেটাপ করার সময়ই নতুন ফন্ট সহ উইন্ডোজ এর নতুন সেটিংস প্যানেলের সাথে পরিচিত হবে ব্যবহারকারিরা।


পাশাপাশি সেটাপ কমপ্লিট হবার পরে, চোখে পরবে দারুন মনোরম নীল রঙ্গে সাজানো স্ক্রিন। উইন্ডোজ এর প্রতি সংস্করণেই স্টার্ট-আপ সাউন্ড এর পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। উইন্ডোজ ১১ তেও পরিচিত হবেন সম্পূর্ণ নতুন একটি স্টার্ট-আপ সাউন্ডের সাথে। উইন্ডোজ ১১ তে পাবেন দারুন দারুন বিভিন্ন ওয়ালপেপার। পার্সনালাইজ মেনু থেকে প্রতিটি ওয়ালপেপারের ডার্ক মোডও পেয়ে যাবেন। 


বড় পরিবর্তন এসেছে উইন্ডোজ এর চিরচেনা স্টার্ট মেনুতে। স্টার্ট মেনুতে আগের মত আর কোন টাইলস দেখতে পারবেননা। উইন্ডোজ ১১ সংস্করণ থেকে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ৮ থেকে প্রচলিত হওয়া স্টার্ট মেনুর টাইলসকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছে। বরং এখানে আপনি প্রতিটি অ্যাপস এর ছোটো ছোটো আইকন দেখতে পারবেন, যেমনটা ম্যাকে দেখা যায়। আর এন্ড্রয়েড এর অ্যাপস ড্রয়ারের মতন , অ্যাপস ড্র্যাগ করে মন মত সাজিয়েও নিতে পারবেন।  

স্টার্ট মেনু টি এবার অনেক বেশি কাস্টমাইজেবল; আর মাইক্রোসফট এবারের স্টার্টমেনুতে মুলত অ্যাপস এবং বিভিন্ন ফাইল, ফোল্ডারকে ফোকাসে রাখবার জন্য ডিজাইন করেছে।  

Default ভাবে উইন্ডোজ ১১ এর টাস্কবার এবং স্টার্ট মেনু centre তথা মাঝামাঝি  align করা হয়েছে। উইন্ডোজে আগে যেমন বাম পাশ কেন্দ্রিক ছিল সব, এবার মাইক্রোসফট সেগুলো মাঝামাঝি করে দিয়েছে। তবে সেটিংস থেকে টাস্কবার এবং স্টার্টমেনু আবারও বাম পাশ কেন্দ্রিক করে নেয়া যাবে। 

স্টার্ট মেনু থেকে পাওয়ার সম্পর্কিত বাটনগুলোতেও খুজে পাবেন নতুনত্ব!   


উইন্ডোজ সার্চ মেনুতে তেমন কোন পরিবর্তন পাবেন না, এটিকে উইন্ডোজ ১০ এর মতই বলা চলে। 


টাস্কবারেই পেয়ে যাবেন ‘টাস্ক ভিউ’ বাটন। এখানে আপনার ব্যাকগ্রাউন্ডে কি কি চলমান তার স্নিপেট প্রদর্শন করবে। আর এখানে থেকে সহজেই যেকোনো টাস্কে সুইচ করতে পারবেন। 


নতুনত্ব হিসেবে পাবেন উইজার্ডস বাটন! টাস্ক বারে পাওয়া উইজার্ডস বাটনে ক্লিক করে বাম পাশ থেকে উইজার্ডস প্যানেল খুলে যাবে। উইজার্ডস প্যানেল নানান রকম গুরুত্বপূর্ণ উইজার্ডস এর পাশাপাশি নিচে দেখতে পারবেন, অনেক আর্টিকেল! এই আর্টিকেল গুলো উইন্ডোজ এর তরফ থেকে আপনাকে সাজেস্ট করবে। আপনি অবশ্যই কাস্টমাইজ করতে পারবেন, কিরকমের আর্টিকেল আপনি দেখতে চান। 

‘মাই কম্পিউটারে’ তেমন কোন পরিবর্তন পাবেন না, যা পরিবর্তন দেখতে পারবেন তা হচ্ছে আইকনে। উইন্ডোজ ১১ তেসর্বত্র নতুন আইকন এর দেখা পাবেন। আর কমবেশি প্রতিটি আইকনেই হোভার করলে দারুন এনিমেশনের দেখা পাবেন। অ্যাপ ওপেনিং-ক্লোজিং থেকে শুরু করে প্রায় সকল একশনেই উইন্ডোজ ১১ তে দারুন সব এনিমেশনের দেখা পাবেন।    


স্ক্রিন-স্প্লিট করে একাধিক অ্যাপস চালাতে তো পারবেনই; তবে নতুন এই উইন্ডোজ ১১ তে পেয়ে যাবেন দারুন ৪টি স্ক্রিন-স্প্লিট মুড। 

সময়ের সাথে সাথে সবকিছুর আধুনিকায়নে প্রযুক্তি যে কোন একটি কথায় আটকে থাকার নয় সেটাই প্রমান করল মাইক্রোসফট। ২০১৫ সালে তারা বলেছিল উইন্ডোজ ১০ই হবে তাদের শেষ উইন্ডোজ সংস্করণ, তবে বছর ৬ যেতেই তাদের সেই সিদ্ধান্ত থেকে ঘুরে দাড়াতে হলো !     


মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password