সন্তানের বাবা কে? সন্দেহে মেয়ের সামনেই স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন, খুনের চেষ্টা মেয়েকেও

সন্তানের বাবা কে? সন্দেহে মেয়ের সামনেই স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন, খুনের চেষ্টা মেয়েকেও
MostPlay

সন্তানের বাবা কে? সেই সন্দেহ থেকে মেয়ের সামনেই স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন। খুনের চেষ্টা নিজের শিশু কন্যাকেও। এরপর নিজের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ঘাতক ওই ব্যক্তি।

বাজার করতে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর যা হল তাতে চমকে উঠছেন আট থেকে আশি।  জানা গিয়েছে, বাজার করতে যাওয়ার নাম করে রাস্তায় বেরিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করল স্বামী। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার সিঙ্গি গ্রামে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। দু-দিন আগেই কাটোয়া মহকুমার মঙ্গলকোটে ছেলে মেয়ের সামনেই স্ত্রীকে গুলি করার পর কাটারি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে স্বামী। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই  ফের খুনের ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শিশুকন্যার বাবা অন্য কেউ সন্দেহে স্ত্রীকে খুন করে ওই ব্যক্তি।

 

 

তিন বছর আগে কেতুগ্রামের নিরোলের বাসিন্দা অশোক পালের সঙ্গে সিঙ্গির বাসিন্দা পল্লবীর বিয়ে হয়। এক শিশুকন্যা জন্মানোর  পর থেকেই পাল পরিবারে দাম্পত্য কলহ শুরু। অশোক পালের সন্দেহ,  সন্তানটি তাঁর নয়। শিশু কন্যার বাবা অন্য কেউ। স্ত্রীকে সন্দেহ করাকে কেন্দ্র করে অশান্তি এমন পর্যায়ে যায় যে দুই পরিবার দু-বার আলোচনাতেও বসেছিল। স্ত্রীকে অশোক প্রায়ই মারধর করত বলেও অভিযোগ।

 

 

 স্বামীর অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে পল্লবী বাপের বাড়ি সিঙ্গি গ্রামে চলে এসেছিল কয়েক দিন আগে। কেতুগ্রাম থানায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে  অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পল্লবীর বাবা রবীন্দ্রনাথ  পাল। মঙ্গলবার শ্বশুরবাড়িতে যায় অশোক। সকলের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করে। সন্ধ্যার সময়  স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে বাজারে যাওয়ার নাম করে বের হয়। তার কিছু সময়  পরই শ্বশুর বাড়ির সামনেই স্ত্রীর উপর ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে অশোক। আতঙ্কে চিৎকার করে ওঠেন  পল্লবী। আশপাশের বাসিন্দারা ছুটে আসেন। জানা গিয়েছে, স্ত্রীকে আক্রমণের পর অশোক শিশুকন্যাকেও খুন করার চেষ্টা চালাচ্ছিল। বাসিন্দারা অবশ্য তার আগেই ধরে ফেলে অশোককে। তখন সে নিজের পেটে ছুরি বসিতে দেয়। পল্লবী ও অশোককে  কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মৃত্যু হয় পল্লবীর।  অশোক বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পল্লবীর বাপের বাড়ির আত্মীয়রা বলছেন, ও যে এমন কাণ্ড ঘটাবে তা কেউ ঘুনাক্ষরেও টের পাইনি। সামান্য সন্দেহ হলেও ওঁদের ঘরের বাইরে যেতে দিতাম না।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password