তিন দিনের ছুটিতে কুয়াকাটায় পর্যটকের উপচেপড়া ভিড়

তিন দিনের ছুটিতে কুয়াকাটায় পর্যটকের উপচেপড়া ভিড়

কলাপাড়া, পটুয়াখালী ॥ সাপ্তাহিক দুই দিনের ছুটির সঙ্গে যোগ হয়েছে ২১ ফেব্রুয়ারির ছুটি। যেন সোনায় সোহাগা। নেই শীতের তীব্রতা। যেন এই মোক্ষম সুযোগকে কাজে লাগাতে কুয়াকাটায় পর্যটকের এখন উপচে পড়া ভিড় রয়েছে। পর্যটকের পদভারে মুখরিত হয়ে আছে গোটা সৈকত। সকল হোটেল-মোটেল আগেই পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।

এখন মানুষের বাড়িঘর ভাড়া নিচ্ছেন আগতরা। সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য অবলোকনে প্রকতিপ্রেমিক মানুষের যেন ঢল নেমেছে। করোনার ভয়কে উপেক্ষা করে কুয়াকাটা এখন পর্যটকে ঠাঁসা রয়েছে। কোথাও যেন তিল ধারনের ঠাঁই নেই। ভ্রমন পিপাসু মানুষের হৈ-হুল্লুরে কুয়াকাটা মুখর হয়ে আছে। করোনার সংক্রমন কমায় যেন বন্দীদশা থেকে ছুটে আসা মুক্তিকামী মানুষের ভিড় এখন কুয়াকাটায়।

শুক্রবার সকাল থেকেই পুরো সৈকতজুড়ে পর্যটকদের পদচারণা রয়েছে। কুয়াকাটার আশপাশে দর্শনীয় স্পটগুলোতে দর্শনার্থীর উপস্থিতি চোখে পড়ার মত। পর্যটকদের নিরাপত্তায় সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে দাড়িয়ে সূর্যোদয় সূর্যাস্ত অবলোকনের পর পর্যটকরা ছুটে যান রাখাইনদের আদি কুয়া অথবা রাখাইন পল্লিতে। জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন রয়েছে নজরকাড়া শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার। রাখাইন মহিলা মার্কেট, মিশ্রিপাড়ায় অবস্থিত এশিয়ার সর্ববৃহৎ সীমা বৈীদ্ধবিহার । ইকোপার্ক, লেম্বুরচর, শুটকিপল্লি, ইলিশপার্কসহ বিভিন্ন আকর্ষনীয় স্থান। পর্যটকদের বাড়তি বিনোদনে প্রস্তুত ছিল নৌভ্রমন।

কেউ বিচে ছাতার নিচে বসে সাগরের নীল জল আর সূর্য রশ্মির রঙ্গিন খেলায় মেতে উঠছে। ১৮কিমি দীর্ঘ সৈকতের কোল ঘেঁষা গঙ্গামতির সংরক্ষিত বনাঞ্চল দেখা, দক্ষিণে দৃষ্টিসীমা যতদুর যায় শুধু নীল সাগরের জলরাশি দেখা। মনপ্রাণ জুড়িয়ে যাওয়া এসব প্রাকৃতিক দৃশ্য অবলোকনে ব্যস্ত সময় পার করছেন আগতরা। প্রকৃতির সঙ্গে মোবাইল ফোনে সেলফি তোলা, ঘোড়ার পিঠে চড়া, নেচে গেয়ে আনন্দ উল্লাস করছেন আগত পর্যটরা। নারিকেল বাগান ঘুওে দেখছেন। শুটকি পল্লী ঘুরে দেখা।

পছন্দের কেনা-কাটা সবই চলছে। সম্প্রতি কুয়াকাটা সৈকতকে পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ নেয়ায় আগতরা স্বস্তি প্রকাশ করছেন। আবাসিক হোটেল ওসানভিউর অপারেশন ম্যানেজার আলআমিন খান উজ্জল বলেন, আমাদের হোটেলের সবগুলো কক্ষ বুকিং আছে। কনফিডেন্স টুরিস্ট সেন্টারের অপারেটর সবুজ মৃধা বলেন, কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা আমাদের কাছে বিভিন্ন স্পটের তথ্য জেনে নিচ্ছেন । কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব শরীফ বলেন, গত এক সপ্তাহ আগ থেকেই পর্যটকরা হোটেল বুকিং সম্পন্ন করেছে। সবগুলো রিজার্ভ হয়ে গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমরা পর্যটক রাখার ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। তবে খাবার হোটেলগুলোর মান এবং দাম নিয়ে বহু পর্যটক ক্ষুব্ধ রয়েছেন।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ সোহরাব হোসাইন বলেন, পর্যটকের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কুয়াকাটার বিভিন্ন স্পটগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password