একযোগে ৬৩ জেলায় জেএমবির সিরিজ বোমা হামলার ১৬ বছর আজ

একযোগে ৬৩ জেলায় জেএমবির সিরিজ বোমা হামলার ১৬ বছর আজ

 ২০০৫ সালের ১৭ই অগাস্ট আজকের এই দিনে ৬৩টি জেলাতে একযোগে বোমা হামলায় কেঁপে উঠেছিল বাংলাদেশ । একযোগে হামলার মাধ্যমে বাংলাদেশে নিজেদের সংঘবদ্ধ উপস্থিতির ঘোষণা করেছিল জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)। সেদিন নিজেদের একটি প্রচারপত্র বা লিফলেটও ছড়িয়ে দিয়েছিল তারা।

২০০৫ সালের আগে থেকেই জঙ্গিরা নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে তাদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছিল। কিন্তু সেসব বিষয় ততোটা গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয়নি। জঙ্গিদের বিরুদ্ধেও কঠোর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তখন তারা নিজেদের জাগ্রত মুসলিম জনতা বা জেএমবি বলে পরিচয় দিতো। সেই সময় 'বাংলা ভাই' মিডিয়ার সৃষ্টি বলে মন্তব্য করেছিলেন তৎকালীন সরকারের নেতৃত্বস্থানীয়রা।

পরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে জেএমবি ও জেএমজেবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় ২০০৫ সালের ১৭ই অগাস্ট যখন ৬৩ জেলায় বম্বব্লাস্ট হলো, তখন জঙ্গিরা ছিল খুবই সুসংগঠিত। কারণ এই ধরণের হামলার ইতিহাস পৃথিবীতে নাই যে, একসঙ্গে একটা দেশের এতগুলো জায়গাতে সমন্বিতভাবে হামলার ঘটনা ঘটে। তারা চেয়েছিল, নো ক্যাজুয়ালটির মাধ্যমে নিজেদের সামরিক এবং সাংগঠনিক সক্ষমতা জানান দেবে। এতো পরিকল্পিত সমন্বিত হামলার ইতিহাস পৃথিবীতে নাই। একটা দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৬৩টি জেলায় হামলা করার মতো তাদের সাংগঠনিক কাঠামো, সক্ষমতা, গোপন রাখার সক্ষমতা সবগুলোই তাদের ছিল।

২০০৫ সালের ওই বোমা হামলার ঘটনার পর জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কিছুটা শক্ত অবস্থান নেয় তৎকালীন সরকার। সেই সময় ৬৩টি জেলায় ১৫৯টি মামলা হয়। পরে ২০০৭ সালের ২৯শে মার্চ মধ্যরাতে জেএমবির প্রতিষ্ঠাতা শায়খ আবদুর রহমান ও সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাইসহ জেএমবির শীর্ষ ছয় নেতার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ সরকার সবধরণের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করার মাধ্যমে জঙ্গিবাদের টুঁটি চেপে ধরে। বর্তমানে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্ষমতা ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password