রাজধানীর অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে পানি সংকট

রাজধানীর অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে পানি সংকট

তীব্র গরমে পাল্লা দিয়ে লোডশেডিং বাড়ায় নাকাল জনজীবন। সেই সাথে রাজধানীর অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে পানি সংকট। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। এদিকে, আগামী ১২ জুনের পর বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রাজধানীবাসীর কাছে মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে পানি সংকট। ভয়াবহ লোডশেডিং সমস্যায় ভোগা সাধারণ মানুষ ভুগছে পানি সংকটে। লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিকমতো পানির পাম্প চালানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে ওয়াসা।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এই সংকটের চিত্র। ঢাকার আফতাবনগর, বনশ্রী, ভাটারা, খিলখেতসহ অন্তত ৩৫টি এলাকায় পানি নিয়মিত পানি পাওয়া যাচ্ছে না লাইনে। দিনে একবার এলেও বেশিক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে না পানির সরবরাহ। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পানি না পাওয়ার এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোথাও কোথাও ওয়াসার লাইনে চাহিদামতো পানি পাওয়া যাচ্ছে না।

আবার ওয়াসা গাড়ির মাধ্যমে যে পানি বিক্রি করে, তা–ও চাহিদামতো কিনতে পারছেন না কিছু এলাকার মানুষ। ওয়াসা বলছে, লোডশেডিংয়ের তারা ঠিকমতো পানির পাম্প চালাতে পারছে না। বিপরীতে প্রচণ্ড গরমের কারণে পানির চাহিদা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেড়েছে—দুইয়ে মিলে সংকট তৈরি হয়েছে।

ঢাকা ওয়াসার পরিচালক (কারিগরি) এ কে এম সহিদ উদ্দিন গণমাধ্যমে বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে সব পাম্প চালানো যাচ্ছে না। কারণ, সব পাম্প চালানোর মতো জেনারেটর নেই। এতে সংকট তৈরি হয়েছে। বিদ্যুতের সমস্যা কমলে কিংবা দু-এক দিনের মধ্যে বৃষ্টি হলে পানির সমস্যা কমে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ওয়াসার তথ্য বলছে, ঢাকা শহরে প্রতিদিন ২৫৫ থেকে ২৬০ কোটি লিটার পানির প্রয়োজন হয়। ওয়াসা প্রায় ২৮০ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করে। কিন্তু সরবরাহকালে অপচয় (সিস্টেম লস, যা প্রায় ২০ শতাংশ) এবং পাম্প নষ্ট হওয়ার কারণে মাঝেমধ্যেই এলাকাভিত্তিক কিছু সমস্যা তৈরি হয়। কিন্তু গরমের কারণে এখন পানির চাহিদা বেড়ে দৈনিক ৩০০ কোটি লিটারের কাছাকাছি চলে গেছে। ফলে বেশিসংখ্যক এলাকায় সংকট দেখা দিয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password