গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনার অ্যান্টিবডি কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা শেষ করে এনেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। বর্তমানে কিটের পরীক্ষার ডাটা প্রসেসিংয়ের কাজ চলছে। এই কাজ শেষে চলতি সপ্তাহে ওষুধ প্রশাসনে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।এ বিষয়ে বিএসএমএমইউ-এর উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, এখন ডাটা প্রসেসের কাজ চলছে। রেজাল্ট হলে আমাকে জানাবে। তারপর আমরা জমা দেবো। আশা করছি, এই সপ্তাহ শেষে রিপোর্ট জমা হবে।
এদিকে, করোনাভাইরাস শনাক্তের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত ‘জিআর র্যাপিড ডট ব্লট’ কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা এখন স্থগিত রয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ জুন) গণস্বাস্থ্যের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালকে একটি চিঠি দিয়ে অ্যান্টিজেন কিটের পরীক্ষা আপাতত স্থগিত রাখতে বলা হয়।এই বিষয়ে অধ্যাপক কনক কান্তি বলেন, অ্যান্টিজেন্ট কিট তো গণস্বাস্থ্য স্থগিত করে নিয়েছে। শুধু অ্যান্টিবডি কিটের পরীক্ষার রিপোর্ট জমা হবে।
এর আগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বারবার হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, মার্চ মাসে কিট তৈরি হলেও এখন পর্যন্ত অনুমোদন পাওয়া গেল না। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো অনেক দেশ ইতোমধ্যে এই জাতীয় কিটের অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে।এ বিষয়ে অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ওষুধ বা একটি কিটের পারফরম্যান্স ট্রায়াল কেবল একটি বৈজ্ঞানিক বিষয়। ভিসি হিসেবে এখানে আমার হস্তক্ষেপ করার কিছুই নেই।
উল্লেখ্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অ্যান্টিবডি কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করছে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শাহীনা তাবাসসুমের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের কমিটি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন